কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নানা ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে একটি মহল। যা দেখে বিভ্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেকোনো আন্দোলনে গুজব ছড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায় স্বার্থান্বেষীরা। ফলে কোনো তথ্য যাচাই-বাছাই ছাড়া বিশ্বাস ও শেয়ার না করার পরামর্শ তাদের।
সম্প্রতি কোটা সংস্কার আন্দোলনে ভর করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়িয়ে দেশে অস্থিরতা তৈরির অপচেষ্টা করছে একটি মহল।
মিথ্যা তথ্য ছড়ানো থেকে শুরু করে নানা স্পর্শকাতর বিষয় নিয়েও গুজব ছড়াতে পিছপা হন তারা।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর মৃত্যুর খবর ও আন্দোলনে প্রাণহানির সংখ্যা নিয়েও ছড়ানো হয় গুজব।
এ বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ ও অপরাধ বিশেষজ্ঞ ড. তৌহিদুল হক বলছেন, যে কোনো আন্দোলনে গুজব ছড়িয়ে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায় স্বার্থান্বেষী মহল। তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এসব গুজব আন্দোলনকে আরও উসকে দিচ্ছে, দেশে সংঘাত বাড়ছে, প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।
তিনি বলেন, এ ধরনের গুজব সমাজে তৈরি করে বিশৃঙ্খলা, যা রাষ্ট্রের জন্য হুমকিস্বরূপ। তাই যেকোনো খবর যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার না করার পরামর্শ তার।
সেন্টার ফর ক্রিটিক্যাল অ্যান্ড কোয়ালিটিটিভ স্টাডিজ পরিচালক সুমন রহমান বলেন, আমি যদি কোনো ঘটনার পক্ষে থাকি, তখন সেই ঘটনা সাপোর্ট করে এমন কোনো তথ্য পেলে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই বিশ্বাস করে ফেলি।
সেটা মিথ্যা হলেও মানুষ যাচাই করতে ভুলে যায়। কেউ সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার ও লাইক-কমেন্ট করে ফেলে। তাই যেকোনো তথ্য সঙ্গে সঙ্গে শেয়ার না করে একটু অপেক্ষা করার পরামর্শ তার।
জেএন/পিআর