লিওনেল মেসির স্পেনের ইভিজা দ্বীপের মনোরম ও সৌন্দর্যময় বাড়িটি ভেঙে দিয়েছে এক দল বিক্ষোভকারী।
পরিবেশ বিপর্যয়ের দোহাই দিয়ে নিজেদেরকে পরিবেশবাদী সংগঠন নাম ‘ফুতোরো ভেজেতাল’ বলে দাবি করে বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেন।
মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) মেসির বাড়িতে হামলা করেন তারা। এদিকে এ ঘটনার খবরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি বিবৃতি দিয়েছেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট হ্যাভিয়ের মিলেই।
তিনি লিখেছেন, ‘স্পেনে কমিউনিস্টরা জলবায়ু পরিবর্তনের অবসান ঘটাতে ধনীদের হত্যা করতে লিওনেল মেসি এবং তার বাড়ি ধ্বংস করে ফেলেছে। এই কাপুরুষোচিত কাজের প্রতিবাদ জানিয়ে আমি মেসির পরিবারের প্রতি সংহতি জানাচ্ছি।
আমি পেদ্রো সানচেজের সরকারের কাছে স্পেনে বসবাসরত আর্জেন্টাইন নাগরিকদের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চাচ্ছি।
কমিউনিজম হচ্ছে সফলদের প্রতি হিংসা, ঘৃণা এবং বিরক্তি দ্বারা চালিত আদর্শ। মুক্ত এবং সভ্য পৃথিবীতে এর কোনো স্থান নেই।’
জানা গেছে, মেসির বাড়ি ভেঙে দেওয়া ‘ফুতোরো ভেজেতাল’ ২০২২ সাল থেকে পরিবেশ বিষয়ে নানা ধরনের আন্দোলন করে আসছে।
২০২২ সালে দলটিই মাদ্রিদের প্রাদো জাদুঘরে স্থাপিত স্প্যানিশ শিল্পী ফ্রানসিসকো দে গয়ার পেইন্টিংয়ে আঠা লাগিয়ে দেয়। বিভিন্ন সময় এমন কাজ তারা আরও কয়েকবার করেছে।
ঘটনার ভিডিও করে পরিবেশবাদী সংগঠন ‘ফুতোরো ভেজেতাল’ একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, মেসির বাড়ির সামনে দুজন ব্যক্তি দাঁড়িয়ে আছেন।
এ সময় বাড়ির দেয়ালে স্প্রে দিয়ে এবং ‘ধনীরা নিপাত যাক’ লিখে তাকে দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি ধনী মানুষদের কারণে পরিবেশে যে বিপর্যয় হচ্ছে, সেটিও মনে করিয়ে দেওয়া হয় মেসিকে।
ভূমধ্যসাগরে অবস্থিত নান্দনিক সৌন্দর্যের লীলাভূসি ইভিজাতে ১ কোটি ২০ লাখ ডলার খরচ করে এই বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন মেসি। লাল ও কালো রংয়ের দেয়াল দিয়ে বাড়িটি আচ্ছাদিত করেছিলেন বর্তমান বিশ্বসেরা এই ফুটবলার।
২০২২ সালে বার্সেলোনা ছাড়ার পর থেকে বাড়িটিতে থাকেন না মেসি। তবে অবকাশ যাপনের জন্য মাঝে মাঝে সেখানে যেতেন তিনি।
জেএন/পিআর