তিন দিন বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সকাল থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বাণিজ্য আবার শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, আজ সকাল সাড়ে আটটা থেকে দুই দেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি শুরু হয়। বেলা ১১টা পর্যন্ত ৩১ ট্রাক পণ্য রপ্তানি ও ৩৪ ট্রাক পণ্য আমদানি হয়েছে।
আমদানি পণ্যের মধ্যে রয়েছে স্পঞ্জ আয়রন, কর্ন ডিডিজিএস, কাপড়, ব্লিচিং পাউডার, কোয়ার্টাইজ পাউডার, অ্যালামসহ বিভিন্ন ধরনের পণ্য। এ ছাড়া রপ্তানি পণ্যের মধ্যে আছে তৈরি পোশাক, পাটের সুতা, কাঁচা পাট, খালি সিলিন্ডার, জুতা, আরেকা বাদাম ও ভ্রমণ সামগ্রীর লাগেজ।
বুধবার বেনাপোল বন্দর পরিচালক, কাস্টমস ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট নেতারা পেট্রাপোল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পণ্য আমদানি-রপ্তানি চালুর জন্য অনুরোধ জানান।
এরপর পেট্রাপোল কাস্টমস, বন্দর ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট বুধবার বিকেলে যৌথ আলোচনায় বাংলাদেশে তাদের পণ্যবাহী ট্রাক বেনাপোল বন্দরে পাঠাতে সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে আজ সকাল থেকে পুনরায় চালু হয় ব্যস্ততম এ বন্দরের কার্যক্রম।
বেনাপোল ক্লিয়ারিং এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে সোমবার থেকে বেনাপোল বন্দর দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য বন্ধ ছিল।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকে তাগিদ দেওয়া হলেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কায় ভারতের পেট্রাপোল সেন্ট্রাল ওয়্যার হাউজ করপোরেশন (সিডাব্লিউসি) কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশে কোনো পণ্যবাহী ট্রাক পাঠায়নি। বুধবার উভয় দেশের যৌথ সভার পর আজ সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়। বন্দরের কাজও চলছে স্বাভাবিকভাবে।
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক রেজাউল করিম জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে তিন দিন ধরে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ ছিল। বুধবার বিকেলে স্থানীয় ও ভারতীয় ব্যবসায়ী এবং বন্দর কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়।
তারা আমদানি-রপ্তানি চালুর কথা জানানোর পর বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্যক্রম শুরু হয়। যা এখনো চলমান। বন্দরের অভ্যন্তরে পণ্য লোড-আনলোড চলছে। অনেকে পণ্য খালাস করে নিয়ে যাচ্ছেন।
জেএন/পিআর