নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে ১৭ সদস্যের অন্তর্বর্তীকালীন মন্ত্রিসভা গঠিত হতে যাচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৯টায় বঙ্গভবনে এই মন্ত্রিসভার প্রধান উপদেষ্টাসহ সবাই শপথ নেবেন বলে জানা গেছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, রাতে মন্ত্রিসভার সদস্যরা শপথ নিতে পারেন। তাদের শপথের জন্য বঙ্গভবন প্রস্তুত করা হয়েছে।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা:
ড. মুহাম্মদ ইউনূস— অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস একজন অর্থনীতিবিদ, শান্তিতে নোবেলজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা।
অন্তবর্তীকালীন সরকারের ১৬ উপদেষ্টা:
১. ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ— বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর।
২. ড. আসিফ নজরুল— ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক।
৩. আদিলুর রহমান খান— মানবাধিকার কর্মী এবং মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের প্রতিষ্ঠাতা।
৪. হাসান আরিফ— সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল।
৫. তৌহিদ হোসেন— সাবেক পররাষ্ট্র সচিব।
৬. সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান— আইনজীবী ও বেলার প্রধান নির্বাহী।
৭. মো. নাহিদ ইসলাম— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। তিনি একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক। তিনি একইসঙ্গে গণতান্ত্রিক ছাত্র শক্তি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন— সাবেক নির্বাচন কমিশনার।
১০. সুপ্রদীপ চাকমা— সাবেক রাষ্ট্রদূত ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান সুপ্রদীপ চাকমা।
১১. ফরিদা আখতার— বিনীগ (উন্নয়ন বিকল্পের নীতি নির্ধারণী গবেষণা) এর নির্বাহী পরিচালক
১২. বিধান রঞ্জন রায়— জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক।
১৩. আ.ফ.ম খালিদ হাসান— হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের সাবেক নায়েবে আমীর।
১৪. নূর জাহান বেগম— ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপদেষ্টা।
১৫. শারমিন মুরশিদ— অধিকার ভিত্তিক সংগঠন ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
১৬. ফারুক-ই-আজম, বীর প্রতীক— বীর মুক্তিযোদ্ধা।
জানা যায়, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারপ্রধান হিসেবে শপথ নেওয়ার পর ড. মুহাম্মদ ইউনূস রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় থাকবেন। তার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনা। ভেতরে আসবাবপত্র নতুনভাবে বসানো হচ্ছে। এই কাজগুলো করছে গণপূর্ত অধিদফতর (পিডব্লিউডি)।
তবে যমুনা ভবনের সামনে এখনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বসানো হয়নি। সেনাবাহিনী, আনসারসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে এক-এগারোর পট পরিবর্তনের পর সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ফখরুদ্দীন আহমেদ যমুনায় ছিলেন।
১৯৯৬ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বিচারপতি হাবিবুর রহমান এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা লতিফুর রহমান তাদের দায়িত্বের দিনগুলো রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যুমনাতেই ছিলেন।
জেএন/এমআর