অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়েছেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ২১ মিনিটে বঙ্গভবনে শপথ নেন তিনি। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন তাকে শপথ পাঠ করান।
বঙ্গভবন সূত্রে জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যুক্তরাজ্য, চীন, জাপান, ইরান, আর্জেন্টিনা, ফিলিস্তিন, কাতার, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নেদারল্যান্ডসসহ আরো কিছু দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত আছেন।
বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন, দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, শামসুজ্জামান দুদু, আমান উল্লাহ আমান, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, খাইরুল কবীর খোকন, সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, তাবিথ আউয়াল ও মিজানুর রহমান মিনু।
বামপন্থি দলের নেতাদের মধ্যে আছেন মোজাহিদুল ইসলাম সেলিম, রুহিন হোসেন প্রিন্স ও জোনায়েদ সাকি।
এ ছাড়াও আছেন কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না ও নূরুল হক নূর।
জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানও ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের কাউকে দেখা যায়নি। অনুষ্ঠানে প্রায় সব মন্ত্রণালয়ের সচিবও উপস্থিত আছেন।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে নোবেল বিজয়ী ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আজ দুপুরে ফ্রান্সের প্যারিস থেকে দেশে ফেরেন শান্তিতে এই নোবেলজয়ী। তাকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি দুপুর ২টা ১০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।
এ সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান তিনি বাহিনীর প্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা।
সম্ভাব্য উপদেষ্টারা হলেন-
১. সালেহউদ্দিন আহমেদ, ২. ড. আসিফ নজরুল, ৩. আদিলুর রহমান খান, ৪. হাসান আরিফ, ৫. তৌহিদ হোসেন, ৬. সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, ৭. মো. নাহিদ ইসলাম, ৮. আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া, ৯. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন, ১০. সুপ্রদিপ চাকমা, ১১. ফরিদা আখতার, ১২. বিধান রঞ্জন রায়, ১৩. আ ফ ম খালিদ হাসান, ১৪. নূরজাহান বেগম, ১৫. শারমিন মুরশিদ ও ১৬. ফারুকী আযম।
জেএন/পিআর