প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জামায়াত একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে গণহত্যা করেছে। আর তাদের সঙ্গে জোট করে বিএনপি মানুষ পুড়িয়ে মেরেছে। যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তাদের গায়ে মানুষ পোড়ানোর গন্ধ। আপনারা তাদের প্রত্যাখান করুন।
রোববার (২৩ ডিসেম্বর) রংপুরের পীরগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএনপি-জামায়াতকে ভোট না দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধানের শীষ মানেই দুর্নীতি-লুটপাট। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া দুর্নীতির দায়ে জেলে, তার ছেলে (তারেক রহমান) পলাতক। তারা দেশবাসীকে কী দেবে?
তিনি বলেন, যেন দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারি, সেজন্য নৌকায় ভোট চাই, দোয়া চাই। তারুণ্যের কাছে ভোট চাই, মা-বোনের কাছে ভোট চাই। আপনারা আমাদের ভোট দিন, আমরা উন্নয়ন করবো, উন্নত জীবন দেবো আপনাদের।
রংপুরসহ উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে তার সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর আমাকে ছয় বছর দেশে আসতে দেওয়া হয়নি। পরে যখন দেশে আসি, বাংলাদেশের পুরো অঞ্চল ঘুরেছি। রংপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরেছি। এখানে তখন মঙ্গাবস্থা। প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলাম রংপুর থেকে মঙ্গা দূর করবো। কোটি মানুষের মুখে হাসি ফোটাবো। এখন রংপুরে মঙ্গা নেই, মঙ্গা দূর করেছি, উন্নয়ন করেছি। বিনা জামানতে বর্গাচাষিরা ঋণ পাচ্ছে।
কেবল উত্তরাঞ্চলই নয়, আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশের উন্নয়নেই কাজ করছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সারাদেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি আমরা। ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা অর্জন করেছি। ২০২১ সালের মধ্যে কোনো ঘর অন্ধকার থাকবে না, সে লক্ষ্য নিয়ে আমরা কাজ করছি। প্রত্যেকটা এলাকার উন্নয়ন হয়েছে। কেউ গৃহহারা থাকবে না। একটা মানুষও রোগে কষ্ট করবে না।
রংপুর-৬ (পীরগঞ্জ) আসনে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীকে প্রার্থী হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, আমি আমার মেয়ে শিরীনকে আপনাদের হাতে তুলে দিয়ে গেলাম। তাকে আপনাদের প্রতিনিধি হিসেবে নির্বাচিত করুন। আপনারা শিরীনকে সবসময় পাশে পাবেন। তাকে নৌকায় ভোট দেওয়া মানে আমাকে নৌকায় ভোট দেওয়া।