কর্মবিরতির পরে চট্টগ্রাম মহানগরীর গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পয়েন্টে পোশাক গায়ে দিয়েই সড়কে দায়িত্ব পালন করবেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা। তাদের সাথে থেকে সমন্বয় করবেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১২ আগস্ট) সকাল ৮টায় দেখা যায় নগরীর আগ্রাবাদ, টাইগারপাস, ওয়াসা, লালখানবাজার এবং নিউমার্কেট এলাকায় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। অনেক জায়গায় পুলিশের সাথে আছে শিক্ষার্থীরা। আবার কিছু পয়েন্টে এখনোও ট্রাফিকের দায়িত্ব পালন করছে শুধু শিক্ষার্থীরা।
শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের পর ভেঙে পড়ে পুলিশের চেইন অব কমান্ড। সারাদেশে বিভিন্ন থানায় হামলা হয়। সেই সাথে পুলিশ সদস্যদের মারধর ও হত্যার ঘটনা ঘটে।
একপর্যায়ে চট্টগ্রাম নগরসহ সারাদেশের পুলিশ শূন্য ট্রাফিক সিগন্যাল ও সড়কে যান চলাচলের শৃঙ্খলার দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেয় ছাত্র-জনতা।
এদিকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের থানাগুলো চালুর চেষ্টা করছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পুলিশ সদর দপ্তর।
১৫ আগস্টের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে কাজে যোগ দিতে বলা হয়েছে। অন্যথায় তাদের পলাতক দেখানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন।
রোববার (১১ আগস্ট) রাতে আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পুলিশকে সহযোগিতার লক্ষ্যে ৫৩৭টি থানায় সেনা মোতায়েন রয়েছে। থানার স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এরই মধ্যে উল্লেখযোগ্য হারে পুলিশ সদস্যরা কর্মস্থলে যোগদান করছেন, যা চলমান রয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনায় লুটপাটকৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ সাধারণ জনগণ সেনাবাহিনীর কাছে জমা দিচ্ছে।
জেএন/পিআর