এ কর্মসূচি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয় দাবি সমন্বয়ক রাসেলের

চসিক প্রকৌশলী ঝুলনের পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাশের কার্যালয় ঘেরাও করে তার পদত্যাগ দাবিতে বিক্ষোভ করেছে কিছু ছাত্র-জনতা।

- Advertisement -

সড়কবাতি বন্ধ রাখার অভিযোগে মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সকালে নগরের দামপাড়া এলাকায় চসিকের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর কার্যালয় ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ বিক্ষোভ হয়।

- Advertisement -google news follower

এ সময় তিনি কর্মস্থলে ছিলেন না। পরে বিক্ষোভকারীরা চসিকের টাইগারপাস অস্থায়ী কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ৯ দফা দাবিতে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দেন।

তবে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চসিক ঘেরাও কর্মসূচির সঙ্গে সম্পৃক্ত নয় বলে দাবি করেছেন চট্টগ্রামের (কেন্দ্রীয়) সমন্বয়ক মোহাম্মদ রাসেল।

- Advertisement -islamibank

তিনি খবর পেয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান কার্যালয়ে ছুটে যান। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে যারা যান তাদের ফিরিয়ে আনেন।

বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে আমাদের কর্মসূচি ছিল না। যারা করেছে তারা নিশ্চয়ই দুষ্কৃতিকারী। খবর পেয়ে আমরা সেখানে গিয়ে তাদের নিয়ে আসি। আমাদের আন্দোলনকে ব্যাহত করার জন্য কেউ এই ধরনের কাজ করছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দামপাড়া কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে ঝুলন কুমার দাশকে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা দাবি করে তার পদত্যাগ চেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র–জনতা ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা।

বেশ কিছুক্ষণ তারা সেখানে অবস্থান নেন। তারা সরকার পতনের আন্দোলন চলাকালে ৩, ৪ ও ৫ আগস্ট সড়কবাতি বন্ধ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন এ সময়।

এদিকে প্রকৌশলী ঝুলন দাশ জানান, অতর্কিত এমন ঘটনার জন্য আমাদের অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা জড়িত রয়েছে। অফিসে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে তারা এসব কাজ করছে। আমি অফিসকে বিষয়টি জানিয়েছি।

তিনি সহকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষার্থীদের ‘কান ভাঙানো’ হয়েছে। সড়ক বাতির সুইচ অন অফের দায়িত্ব বিভিন্ন মসজিদের মুয়াজ্জিনদের।

এসব তদারকি করেন সহকারী প্রকৌশলী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীরা। যদি এসব নিয়ে কোনো অভিযোগ থাকে তাদের সঙ্গে কথা বলা দরকার ছিল।

এদিকে চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া স্মারকলিপিতে যেসব দাবি উল্লেখ করা হয় তার মধ্যে রয়েছে, ৩, ৪, ৫ আগস্ট তারিখে লাইট বন্ধের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া, চসিকের সকল বিধি বহির্ভূত নিয়োগকৃতদের বহিষ্কার করা, ঝুলন কুমার দাশের পদত্যাগ, সিটি কর্পোরেশনকে সিন্ডিকেটমুক্ত করা এবং কর্মকর্তাদের কমিশন বাণিজ্য বন্ধ করা, সিটি কর্পোরেশনের যেসব অফিসার কর্পোরেশনকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেছেন তাদের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে ব্যবস্থা নেওয়া, যে সকল অফিসার টেন্ডার কার্যক্রমের সাথে যুক্ত তাদের বিরুদ্ধে সুষ্ঠু তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া এবং যে সকল কর্মকর্তা–কর্মচারী পদোন্নতি বঞ্চিত রয়েছেন তাদের ন্যায়সঙ্গতভাবে পদোন্নতি প্রদানের ব্যবস্থা নেওয়া।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চসিকের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শাহীন-উল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘দুপুরের দিকে শিক্ষার্থীদের একটি টিম অফিসে এসেছিলো। সড়কবাতির বন্ধ থাকার বিষয়টি তারা জানিয়েছে।

এর আগে ৩ আগস্ট আমি যখন খবর নিয়েছিলাম তারা (চসিক কর্মকর্তারা) অস্বীকার করেছিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে আর আলোচনা আগায়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা আজকে কোনো অফিসিয়ালি অভিযোগ দেয়নি। কথাবার্তা বলে গেছে। তারা আবার কালকে আসবে বলে জানিয়েছে। যেহেতু অফিসিয়ালি কোনো অভিযোগ দেয়নি আর বেশি কিছু বলা যাচ্ছে না।’

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM