বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতির পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করেছেন নাজমুল হাসান পাপন। আজ বুধবার ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত জরুরি বোর্ড সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন বিসিবির দীর্ঘ সময়ের এই অভিভাবক।
গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আত্মগোপনে চলে যা পাপন। তার কয়েকদিন পর এক বোর্ড পরিচালকের মাধ্যমে পদত্যাগের নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি। অবশেষে আজ আনুষ্ঠানিকভাবেই ঘোষণা দিলেন পাপন।
দেশের ক্রিকেটের সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে হঠাৎই করেই ডাকা হয়েছে এই বোর্ড মিটিং। ২০১২ সালে সভাপতি হিসেবে মনোনয়নের পর ২০১৩ সালের নির্বাচনের মাধ্যমে সভাপতি হিসেবে চূড়ান্ত হন নাজমুল হাসান পাপন। শুধু বিসিবি সভাপতি পদেই নয়, বোর্ড পরিচালকের পদগুলোতেও ব্যাপক রদ বদল হচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব হারিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন। তার জায়গায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ক্রীড়া উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
২০০৯ সাল থেকে কিশোরগঞ্জ-৬ আসনের এমপি ছিলেন পাপন। গত জানুয়ারিতে পান যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। সমানতালে চালিয়ে যান বিসিবি সভাপতির দায়িত্বও। তার নেতৃত্বাধীন বিসিবির বর্তমান পরিচলনা পর্ষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী বছরের অক্টোবরে। কিন্তু মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই চেয়ার ছাড়তে হলো তাকে।
জেএন/এমআর