চট্টগ্রামে কাঁচা মরিচের কেজি হাজার ছুঁইছুঁই

অর্থনীতি ডেস্ক :

বন্যার কারণে সরবরাহ সঙ্কটের অজুহাতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে মানুষের পকেট কাটা সঙ্ঘবদ্ধ বাজার সিন্ডিকেট।

- Advertisement -

চট্টগ্রামের বিভিন্ন বাজারে ব্যবসায়ীরা দাবি করছে, বন্যার কারণে তিন দিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রামে যান চলাচল প্রায় বন্ধ। ফলে স্বাভাবিকের তুলনায় কয়েক গুণ দাম বেড়েছে সবজির। কাঁচামরিচের কেজি হাজার ছুঁই ছুঁই।

- Advertisement -google news follower

শনিবার (২৪ আগস্ট) চট্টগ্রামের খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মরিচ ৯০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। কোনো কোনো খুচরা অসাধু বিক্রেতা এক হাজার টাকায়ও বিক্রি করছেন।

জানা গেছে, কাঁচামরিচের জোগান হয় মূলত উত্তরবঙ্গ হতে। বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকায় চট্টগ্রামের বাজারে কাঁচা মরিচ আসেনি।

- Advertisement -islamibank

তবে ক্রেতারা দাবি করছে, বাজারে এখনও যেসব সবজি বা কাঁচা মরিচ মজুদ রয়েছে, তা তাদের আগের কেনা হলেও বন্যার সুযোগে দাম বাড়িয়েছেন অসাধু বিক্রেতারা।

গত বৃহস্পতিবারও চট্টগ্রামের বাজারে কাঁচামরিচের কেজি ছিল ২৪০-২৮০ টাকার মধ্যে। কিন্তু শুক্রবার তা পৌঁছে যায় ৬৫০ টাকায় এবং গতকাল শনিবার হাজার ছুঁয়েছে। প্রতি ১০০ গ্রাম বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়।

সরেজমিন নগরীর কাজির দেউরি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, কাঁচা মরিচের সরবরাহ একদমই কম। গুটিকয় দোকানে দেশি কিছু কাঁচামরিচ ঝুড়িতে করে বিক্রি হচ্ছে।

এসব দোকানে প্রতি ১০০ গ্রাম কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। কয়েকজন বিক্রেতা জানিয়েছে, রেয়াজুদ্দিন বাজার সবজির আড়তে কাঁচা মরিচের সরবরাহ না থাকায় খুচরা বাজারে দাম বেড়েছে।

একই সাথে বেড়েছে প্রায় সব ধরনের সবজির দামও। আলু বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। প্রতি কেজি বরবটি ১৪০ টাকা, কাকরোল ১৪০ টাকা, তিত করলা ১০০ টাকা, লাউ ৭০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৫০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৭০ টাকা, ঝিঙ্গা ১০০ টাকা, বেগুন ১০০-১২০ টাকা, কচুর ছড়া ৮০ টাকা, পুঁই শাকের বিচি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দাম শুনেই অনেক ক্রেতা মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন।

ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রামের বাজারে অধিকাংশ সবজি আসে বগুড়া, ফরিদপুর, জামালপুরসহ দূরদূরান্তের বিভিন্ন জেলা থেকে। গত তিন দিনে কাঁচামরিচসহ সবজি আসছে না। ফলে বাজারে সংকট দেখা দিয়েছে। এ সুযোগে কয়েক গুণ দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন অসাধু বিক্রেতারা।

সারা দেশের মানুষ যখন বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হাত বাড়াচ্ছে সেই সময়ে বাজার সিন্ডিকেট জনগণের পকেট কাটতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। এখনই তাদের থামানোর দাবি ভোক্তাদের।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালক (চট্টগ্রাম) মোহাম্মদ ফয়েজ উল্যাহ গণমাধ্যমকে বলেন, কাঁচা মরিচ বাজারে সরবরাহ না থাকলে দাম বাড়তি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা বেশ কিছু অভিযোগ পেয়েছি। বাজারে অভিযান চালিয়ে অসাধু বিক্রেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে ক্যাব কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীসহ নেতারা বলেন, ব্যবসায়ীরা সমাজের এমন একটি বিচিত্র প্রাণী যারা বিগত ১৫ বছর সরকারের ছত্রছায়ায় শুধু মুনাফা ছাড়া অন্য কিছু চিন্তার অবকাশ পায়নি।

যার কারণে বিগত সরকারের প্রতি অতিকৃতজ্ঞ সুবিধাভোগী চক্রটি ছাত্র-জনতার আন্দোলনকে কঠোর হস্তে দমনে আওয়ামী লীগ সরকারকে আজীবন সমর্থন ব্যক্ত করেছিলেন।

একশ্রেণীর অসাধু গুটিকয়েক ব্যবসায়ী মানুষের যেকোনো সঙ্কটকে পুঁজি করে জনগনের পকেট কেটে কোটিপতি হওয়ার বাসনায় উন্মাদ বনে যান।

তখন মানবতা পেছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায়। সে কারণে ‘দুর্যোগ মহামারী কারো জন্য পৌষ মাস, আবার কারো জন্য সর্বনাশ’।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM