কিছুদিন ধরেই সময়টা ভালো যাচ্ছিল না সাকিব আল হাসানের। ক্রিকেটের বাইরের নানা ইস্যুতে বিতর্কিত হতে হচ্ছিল তাকে। তবে বরাবরই সাকিব খারাপ সময়ে মাঠের ক্রিকেটে জবাব দিয়েছেন।
পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে প্রথম টেস্টে তিন ইউকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশি পেসার সাকিব আল হাসান।
এই তিন উইকেট ক্রিকেট বিশ্বে সাকিব আল হাসানকে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছে। ক্রিকেটের তিন ফরম্যাটে সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক এখন সাকিব আল হাসান।
ড্যানিয়েল ভেট্টোরির চেয়ে ২ উইকেট পিছিয়ে থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে খেলতে নেমেছিলেন তিনি। ৩ উইকেট নিয়ে ভ্যাট্টোরিকে ছাড়িয়ে যান।
তিন সংস্করণ মিলিয়ে ৪৪২ ম্যাচের ৪৯৮ ইনিংসে ৭০৫ উইকেট পান ভেট্টোরি। ৩৭ বছর বয়সী সাকিব তাকে টপকে গেলেন বেশ ব্যবধান রেখে— ৪৪৪ ম্যাচের ৪৮২ ইনিংসে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে সাকিবের উইকেটের সংখ্যা এখন ৭০৭। টেস্টে ২৪১, ওয়ানডেতে ৩১৭ ও টি-টোয়েন্টিতে ১৪৯ উইকেট নিয়েছেন তিনি।
প্রথম ইনিংসে ২৭ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১০০ রান দিয়ে বাঁহাতি স্পিনে সাকিব পান কেবল আগা সালমানের উইকেট। সেই হতাশা পেরিয়ে শেষ দিনে তিনি আবির্ভূত হলেন প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের জন্য আতঙ্ক হয়ে। পাকিস্তানকে মাত্র ১৪৬ রানে গুঁড়িয়ে দেওয়ার পথে ১৭ ওভারে ৪৪ রান খরচায় তিনি পেলেন ৩ উইকেট।
সৌদ শাকিলকে রানের খাতা খুলতে না দিয়ে ভেট্টোরির পাশে বসে পড়েন সাকিব। এরপর ক্রিজে খুঁটি গেঁড়ে বসা আবদুল্লাহ শফিককে ফিরিয়ে উইকেটের হিসাবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে শীর্ষ বাঁহাতি স্পিনার বনে যান তিনি। তারপর নাসিম শাহকে আউট করে নিজের রাজত্বকে আরও দৃঢ় করেন।
টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে বাঁহাতি স্পিনারদের মধ্যে সাকিব ও ভেট্টোরি ছাড়া আর কারও ৭০০ উইকেট তো দূরের কথা, ৬০০ উইকেটও নেই। ৩৪৩ ম্যাচের ৩৯৬ ইনিংসে ৫৬৮ উইকেট নিয়ে তিনে আছেন ভারতের রবীন্দ্র জাদেজা।
১৮১ ম্যাচের ২৫৪ ইনিংসে ৫২৫ উইকেট নিয়ে চারে অবস্থান শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথের। পাঁচে থাকা আরেক লঙ্কান সনৎ জয়সুরিয়ার নামের পাশে ৫৮৬ ম্যাচের ৫৩২ ইনিংসে রয়েছে ৪৪০ উইকেট।
পেসার ও স্পিনার মিলিয়ে বাঁহাতি বোলারদের মধ্যে সাকিব এখন আছেন তিন নম্বরে। ৪৬০ ম্যাচের ৫৩২ ইনিংসে ৯১৬ উইকেট নিয়ে অনেকটা ব্যবধানে সবার উপরে পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম।
৪৩৯ ম্যাচের ৫২০ ইনিংসে ৭৬১ উইকেট নিয়ে দুইয়ে অবস্থান শ্রীলঙ্কার চামিন্দা ভাসের।
জেএন/পিআর