বোয়ালখালী পৌরসভার প্রশাসক কর্মস্থলে না আসায় পৌর কার্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রমে বিরাজ করছে স্থবিরতা।
দুইএকজন পৌর কাউন্সিলর অফিস করলেও দেখা নেই বাকিদের। কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও উপস্থিতি কম। ফলে সেবা বঞ্চিত হচ্ছেন পৌরবাসী।
গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তনের পর উত্তেজিত জনতা পৌর কার্যালয়ের আসবাবপত্র ভাঙচুর করেন। এসময় পৌর কার্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র এবং ইলেকট্রনিকস সামগ্রী নষ্ট করে ফেলে।
এতে ৫৫ লাখ ৫৩ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌর কার্যালয়ের হিসাব রক্ষক মো.মজিবুর রহমান।
পৌর প্রশাসক নিয়োগের পর সীমিত পরিসরে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করা হয়। তবে পৌর প্রশাসকের অনুপস্থিতির কারণে দাপ্তরিক কার্যক্রম কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
সম্প্রতি অতি বৃষ্টি ও বন্যার প্রভাবে পৌর এলাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করা হয়নি। এছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার মানুষজন পাননি পৌরসভা থেকে কোনো সহযোগিতা।
জানা গেছে, গত ১৯ আগস্ট পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পান সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী। এরপরদিন থেকে উপজেলা ভূমি অফিসের নিজ কর্মস্থলেও অনুপস্থিত রয়েছেন বলে জানা গেছে। তিনি অনুপস্থিত থাকাকালীন সময়ের জন্য কাউকে ভারপ্রাপ্ত হিসেবেও দায়িত্ব দিয়ে যাননি।
কয়েকজন কাউন্সিলর জানান, ট্রেড লাইসেন্স, জাতীয়তা সনদ, জন্ম নিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন, ওয়ারিশ সনদ, প্রত্যয়ন, নাগরিকত্ব সনদসহ বিভিন্ন সনদে পৌর প্রশাসকের স্বাক্ষর প্রয়োজন। আমাদের স্বাক্ষরে এইসব সনদ দেওয়া যায় না।
পৌর সচিব মো.নজরুল ইসলাম বলেন, পৌর প্রশাসকের নির্দেশনা এবং প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টসে স্বাক্ষর ছাড়া দাপ্তরিক কার্যক্রম পরিচালনা করা সম্ভব নয়। তার সাথে যোগাযোগের চেষ্টা চলছে। পৌর কার্যালয়ে নিয়মিত কার্যক্রম ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি চলমান রয়েছে।
এবিষয়ে পৌর প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতেমা চৌধুরীর মুঠো ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হিমাদ্রী খীসা বলেন, পৌর প্রশাসকের দায়িত্ব পাওয়ার পরদিন ২০ আগস্ট সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুসরাত ফাতেমা চৌধুরী কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন। এরপরদিন ২১ আগস্ট তিনি ছুটি চেয়েছেন। এ ব্যাপারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
জেএন/পুজন/পিআর