বাংলাদেশের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জামায়াতের প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনে বৈধতা পাওয়ায় উদ্বিগ্ন ভারত। রাজনৈতিক দল হিসাবে নিবন্ধন হারানো জামায়াত প্রার্থীরা বিএনপির প্রতীক ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। যদিও জামায়াতের এই প্রার্থীদের নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রভাবশালী দৈনিক আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করে পাকিস্তানের পক্ষ নেওয়া জামায়াতে ইসলামী আজও পাকিস্তানের ঘনিষ্ঠ।
পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই’র সহযোগিতায় ভারতের সীমান্ত বরাবর যাবতীয় অপকর্মের হোতা এই দলের নেতারা। বিগত জোট সরকারের আমলে বিএনপির শরিক হিসেবে ক্ষমতায় এসে সীমান্তবর্তী এলাকাকে জঙ্গিঘাঁটিতে পরিণত করেছিল জামায়াত।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরুর পরে বসিরহাট সীমান্তের উল্টোদিকে সাতক্ষীরা এবং মালদহ, মুর্শিদাবাদ সংলগ্ন রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিস্তীর্ণ এলাকাকে বিচ্ছিন্ন করে ‘মিনি পাকিস্তান’ তৈরি করেছিল দলটির সশস্ত্র কর্মীরা- দাবি ভারতের।
এবারের নির্বাচনে বিএনপি যে ২৫টি আসনে জামায়াত নেতাদের প্রার্থী করেছে তাঁদের অধিকাংশই ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও আসামের সীমান্তবর্তী এলাকা সাতক্ষীরা, খুলনা, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ঠাকুরগাঁও, সিলেট এবং চট্টগ্রামের। পাকিস্তানের আশা, এই প্রার্থীরা জয়ী হলে ফের সীমান্তে ভারতবিরোধী অপকর্ম জোরদার করা যাবে। এই তথ্য ভারতকে দিয়েছে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ ভারত।
তবে বিএনপি নেতা নজরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ‘কেউ জামায়াতের প্রার্থী নন। বিএনপি যাদের প্রতীক দিয়ে প্রার্থী ঘোষণা করেছে, তাঁরা সকলেই বিএনপির প্রার্থী।’
এ পরিস্থিতিতে ভারতের সীমান্তরক্ষীরাও নজরদারি জোরদার করেছে। এরমধ্যেই সোনা ও মাদক নিয়ে বেশ কয়েকজন চোরাচালানিকে সীমান্তে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশে ভোটের আগে অস্ত্র ও অর্থ যাতে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে যেতে না পারে, সে বিষয়ে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারত।