ব্রাজিলে এক্স নিষিদ্ধ

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক :

আদালতের আদেশের পরও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আইন বিষয়ক বৈধ প্রতিনিধি নিয়োগ দিতে না পারায় ব্রাজিলে নিষিদ্ধ হলো ইলন মাস্কের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)।

- Advertisement -

স্থানীয় সময় শনিবার (৩১ আগস্ট) বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এক্সকে অবিলম্বে ও সম্পূর্ণভাবে স্থগিতের আদেশ দেন বিচারক আলেকজান্দ্রে দ্য মোরেস।

- Advertisement -google news follower

তিনি বলেন, যতদিন না আদালতের সমস্ত আদেশ মেনে চলে ও বিদ্যমান জরিমানা প্রদান করে, ততদিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে।

চলতি বছরের এপ্রিলে অ্যালেক্সআন্দ্রে দ্য মোরেস ভুয়া তথ্য ছড়ানোর দায়ে একাধিক এক্স অ্যাকাউন্ট বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলেন। তখন থেকেই ব্রাজিলে এক্স নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন ইলন মাস্ক।

- Advertisement -islamibank

জানান, বাকস্বাধীনতা গণতন্ত্রের ভিত্তি। ব্রাজিলের একজন অনির্বাচিত ছদ্মবেশী বিচারক রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এটিকে ধ্বংস করছে।

এর আগে বিচারপতি মোরেস নতুন বৈধ প্রতিনিধি নিয়োগে মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম এক্সকে ২৪ ঘণ্টা সময় দিয়েছেন। গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় রাত ৮টা থেকে এ সময় শুরু হয়। কিন্তু সময়সীমা পার হয়ে গেলেও এ নির্দেশনা মেনে চলেননি মাস্ক।

যেসব অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছিল তা থেকে পোস্ট করে বলা হয়েছে, বিচারকের আদেশ মেনে না নেয়ায় হয়তো ব্রাজিলে দ্রুতই এক্স বন্ধ হয়ে যাবে। তবে আমরা তার এমন অবৈধ আদেশ মেনে নিব না।

পরে এ ব্যাপারে আইন বিষয়ক প্রতিনিধি পাঠাতে বলা হয় ধনকুবের ইলন মাস্ককে। গত বুধবার এই আদেশ দেয়া হয়। ব্রাজিলের স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত ৮টা ৭ মিনিটে ওই সময় শেষ হয়। এরপর মাস্ক জানান, তিনি প্রতিনিধি পাঠাবেন না। এ কারণে ব্রাজিলে বন্ধ করে দেয়া হয় এই মাইক্রোব্লগিং প্ল্যাটফর্ম।

এতে আরো বলা হয়েছে, বিচারকের দাবি অনুযায়ী এক্স ব্রাজিলের নিজস্ব আইন লঙ্ঘন করেছে। কিন্তু প্রকৃত অর্থে এক্স এ কাজ করেনি।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের পূর্বের এক আদেশের অজুহাতে ব্রাজিলে ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট ফার্ম স্টারলিংকের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইলন মাস্ক।

তিনি বলেন, এক্স ও স্পেসএক্স দুইটা আলাদা কোম্পানি। তাদের আলাদা শেয়ার হোল্ডার।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম গার্ডিয়ান বলছে, ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দা সিলভার মন্তব্যেও এক্স নিষিদ্ধের আভাস মিলেছিল। শুক্রবার দেশটির একটি রেডিও চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে লুলা বলেন, ‘উনার (ইলন মাস্ক) অনেক টাকা আছে বলে তিনি আমাদের অসম্মান করতে পারেন না। তিনি নিজেকে কী মনে করেন?’

সম্প্রতি ব্রাজিলে এক্সের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দেন ইলন মাস্ক। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক আলেক্সান্দ্রে দে মোরেসের আদেশকে ‘সেন্সরশিপ’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। এরপর গত ১৭ আগস্ট থেকেই ব্রাজিলে এক্সের কোনো আইন বিষয়ক প্রতিনিধি নেই।

বিচারপতি মোরেস অ্যাপল এবং গুগলের মতো সংস্থাগুলোকে তাদের অ্যাপ্লিকেশন স্টোর থেকে এক্সকে সরাতে এবং আইওএস ও অ্যান্ড্রয়েড সিস্টেমের ব্যবহার বন্ধ করতে পাঁচ দিনের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন।

এছাড়া ভিপিএনের মাধ্যমে যদি কোন ব্যক্তি বা ব্যবসায়ী এক্সে ঢুকার চেষ্টা করে তাহলে তাকে ৬.৭ কে ইউরো জরিমানার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এর আগে এক্সের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন মাস্ক। গত মাসে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কেয়ার স্টারমারের সঙ্গেও বাগযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন তিনি।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM