রাঙামাটিতে অব্যাহত বৃষ্টিপাত আর উজান থেকে পাহাড়ি ঢলের কারণে চূড়ান্ত বিপৎসীমায় পৌঁছেছে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর।
এ কারণে বাঁধের ১৬টি জলকপাট দুই ফুট করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এখন প্রতি সেকেন্ডে ৩৯ হাজার কিউসেক পানি কর্ণফুলীতে নির্গত হচ্ছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) সকাল থেকে দুই ফুট করে জলকপাট খুলে দেওয়া হয়। বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদের পানির স্তর আছে ১০৮ দশমিক ৮২ এমএসএল (মিনস সি লেভেল)। হ্রদের সর্বোচ্চ পানি ধারণ ক্ষমতা ১০৯ এমএসএল।
কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক এটিএম আবদুজ্জাহের বলেন, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় দুই ফুট করে গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে পানি নিষ্কাশন হচ্ছে ৩৯ হাজার কিউসেক।
পাশাপাশি বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাঁচটি ইউনিট চালু রেখে ২২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে। এতে ছাড়া হচ্ছে প্রতি সেকেন্ডে ৩২ হাজার কিউসেক পানি।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, হ্রদের পানির স্তর আবারও বেড়ে যাওয়ায় দুর্ভোগে আছেন হ্রদের নিম্নাঞ্চলের মানুষ। প্রায় ১৮ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পানিবন্দি মানুষের জন্য ৪৭ টন খাদ্যশস্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জলকপাট এক ফুট খোলা থাকলেও রাতেই পানি বেড়ে যায়।
জেএন/পিআর