ওয়ান ইস্টু ওয়ান শর্তে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি থেকে সরে আসার কথা জানিয়েছেন আন্দোলনরত চিকিৎসকরা। তবে এ জন্য প্রতি একজন চিকিৎসকের বিপরীতে একজন নিরাপত্তাকর্মী দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তারা। যেসব হাসপাতালে এই শর্তপূরণ করা হবে শুধুমাত্র সেসব হাসপাতালে ‘জরুরি সেবা’ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, হাসপাতাল পরিচালকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ডা. আহাদ ও ডা. সোহেল রানা।
তারা বলেন, কর্মক্ষেত্রে আমাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গতরাতে যে হামলা হয়েছে তা পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের আটক করতে হবে। আলোচনায় আমাদের দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য একজন চিকিৎসকের বিপরীতে একজন পুলিশ, সেনা সদস্য বা বিজিবি নিয়োগ করতে হবে। যেই মুহূর্তে এটা নিশ্চিত করা হবে সেই মুহূর্তে আমরা জরুরি সেবা চালু করব।
একইসঙ্গে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কর্মস্থলে চিকিৎসকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করা হলে পুনরায় কমপ্লিট শাটডাউনের কথা জানিয়েছেন তারা৷ এছাড়া আগামী সাতদিনের মধ্যে স্বাস্থ্য পুলিশ, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা।
যদিও এর আগেই চিকিৎসকরা কমপ্লিট শাটডাউন থেকে সরে এসেছেন বলে জানান স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম ও ঢামেক পরিচালক। তারা জানান, ঢাকা মেডিকেলসহ সারাদেশে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি অব্যাহত থাকলেও ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এ সময়ে হাসপাতালগুলোর জরুরি সেবা, ভর্তি, নিউরোসার্জারি বিভাগসহ জরুরি অপারেশন কার্যক্রম চালু থাকবে।
জেএন/এমআর