ভূমধ্যসাগরে বিপুল বাংলাদেশিসহ ২৮৯ অভিবাসী উদ্ধার

ভিনদেশ ডেস্ক :

ভূমধ্যসাগরে দুর্দশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকা কয়েকটি নৌকা থেকে বিভিন্ন দেশের ২৮৯ জন অনিয়মিত অভিবাসীকে উদ্ধার করেছে সাগরে সক্রিয় জার্মান এনজিও সি-ওয়াচ ইন্টারন্যাশনালের উদ্ধার জাহাজ সি-ওয়াচ ৫।

- Advertisement -

শনিবার (৩১ আগস্ট) চারটি আলাদা অভিযানে ভূমধ্যসাগরের আন্তর্জাতিক জলসীমা ও লিবিয়া উপকূলে ঝুঁকিতে থাকা এসব অভিবাসীকে উদ্ধার করা হয়।

- Advertisement -google news follower

সি-ওয়াচ কর্তৃপক্ষ সোমবার (২সেপ্টেম্বর) ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানিয়েছে, লিবিয়ার ত্রিপোলি থেকে প্রায় ৪০ নটিক্যাল মাইল উত্তর-পশ্চিমে ৪টি আলাদা উদ্ধার অভিযানে অভিবাসীদের সবাইকে উদ্ধার করা হয়।

সি-ওয়াচ আরো জানিয়েছে, উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ১৩ জন নারী, ১২ বছরের কম বয়সি ১২ জন শিশুসহ মোট ৩৮ জনজন অপ্রাপ্তবয়স্ক অভিবাসী রয়েছেন। অভিবাসীদের বেশিরভাগই বাংলাদেশি ও সিরীয় নাগরিক৷

- Advertisement -islamibank

ইটালি কর্তৃপক্ষ অভিবাসীদের নিয়ে দেশটির সিভিটাভেকিয়া বন্দরে যেতে সি-ওয়াচ ৫ জাহাজকে অনুমতি দিয়েছে৷ যেটি উদ্ধার অঞ্চল থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত৷ যদিও জাহাজটি কাছাকাছি কোনো বন্দরে অভিবাসীদের নামাতে অনুমতি চেয়েছিল৷

জাহাজটি অভিবাসীদের মঙ্গলবার ( ৩ সেপ্টেম্বর) সিভিটাভেকিয়া বন্দরে পৌঁছানোর আশা করছে বলে ইনফোমাইগ্রেন্টসকে জানিয়েছে।

সিভিটাভেকিয়া ইটালির লাজিও অঞ্চলের একটি শহর৷ যেটি টাইরহেনিয়ান সাগর এবং টোলফা পর্বতমালার মধ্যে রাজধানী রোমেই কাছেই অবস্থিত৷ এটি সার্ডিনিয়া এবং কর্সিকা সমুদ্রবন্দরে যাওয়ার সংযোগস্থল৷

সি-ওয়াচ জানিয়েছে, দীর্ঘ ও অপ্রয়োজনীয়ভাবে দূরবর্তী বন্দর নামানোর অনুমতি উদ্ধার জাহাজের ক্রুদের উপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি করে৷ এটি ইচ্ছাকৃতভাবে আমাদের উদ্ধার করা থেকে বিরত রাখে৷ উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে এক তরুণকে ইতিমধ্যেই জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে৷

বিশ্বের সবচেয়ে বিপজ্জনক অভিবাসন পথগুলোর মধ্যে একটা হলো সেন্ট্রাল ভূমধ্যসাগরীয় রুট৷

ইটালির পার্লামেন্ট ২০২৩ সালে একটি ডিক্রি অনুমতি দেয়৷ প্রধানমন্ত্রী জর্জা মেলোনি সরকারের জারি করা এই আইনে ভূমধ্যসাগরে একটি উদ্ধার অভিযান শেষ হওয়ার পরই ইটালির কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্ধারিত বন্দরে চলে যেতে হবে।

এনজিওগুলোর অভিযোগ, এর ফলে সমুদ্রে আরো অনেক মানুষের প্রাণহানির আশঙ্কা রয়েছে।

জাহাজের জন্য নির্ধারিত বন্দরগুলো প্রায়ই উদ্ধারস্থল থেকে অনেকটা দূরে। তাই সেখানে পৌঁছাতে বেশ কয়েকদিন সময় লেগে যায়।

ইটালি সরকারের দাবি, সিসিলির অভ্যর্থনা কেন্দ্রগুলো এবং লাম্পেদুসার মতো ছোট দ্বীপগুলো যাতে ভিড়ে উপচে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার জন্য এই নিয়ম করা হয়েছে। এছাড়া ইটালির দক্ষিণে অবকাঠামোও কম৷

যদিও এনজিওগুলোর যুক্তি, এই নীতির ফলে তাদের উদ্ধারকাজে বাধা পড়ছে, ফলে আরো বেশিসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হচ্ছে।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM