আন্তঃসীমান্ত নদীতে ভারতের বাঁধ দেওয়া আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন হয়েছে অভিযোগ করে ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে ইনকিলাব মঞ্চের লংমার্চ থেকে ৫ দফা দাবি জানানো হয়েছে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে ভারতের পানিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে ডম্বুর বাঁধ অভিমুখে লং মার্চ শুরু করে ইনকিলাব মঞ্চ। রাজধানীর শাহবাগ থেকে শুরু করে যাত্রাবাড়ী, কুমিল্লার চান্দিনায় পথসভা করেন লং মার্চে অংশগ্রহণকারী।
যুগের পর যুগ বাংলাদেশকে পানির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করায় আন্তর্জাতিক আদালতে ভারতের বিরুদ্ধে মামলার দাবি জানিয়ে তারা বলছেন, বাঁধের কারণে বর্ষা মৌসুমে বন্যা আর ফসলের মৌসুমে খরার কবলে পড়ছে বাংলাদেশ।
ত্রিপুরা থেকে নেমে আসা ঢলে সম্প্রতি দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১ জেলা ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ে। এতে অন্তত ৭১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে লাখ লাখ মানুষ। অভিযোগ উঠেছে, ডম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে বাংলাদেশের এমন পরিস্থিতি হয়েছেযদিও ভারত সরকার এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, বাংলাদেশের বন্যা ডম্বুর জলবিদ্যুৎ প্রকল্পের বাঁধ খুলে দেয়ার কারণে হয়নি।
আওয়ামী লীগ সরকারের সহায়তায় বছরের পর বছর ভারত পানি সন্ত্রাসের মাধ্যমে বাংলাদেশের মানুষের ওপর সীমাহীন জুলুম করেছে অভিযোগ করে বাঁধ ভেঙে দেওয়াসহ ৫ দফা দাবি জানান ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি। দাবিগুলো হলো:
১. অতিদ্রুত তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া।
২. জাতিসংঘ পানিপ্রবাহ কনভেনশন ১৯৯৭-এ অতিসত্বর অনুস্বাক্ষর করা। এ কনভেনশন অনুযায়ী ভাটির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানের দেশের কাছে ক্ষতিপূরণ দাবি করা।
৩. আন্তঃসীমান্ত নদীর নতুন তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ নেওয়া।
৪. ৫৪টি আন্তঃসীমান্ত নদীর অববাহিকাভিত্তিক পানিবণ্টনে সব পন্থাকে অন্তর্ভুক্ত করা।
৫. ভারতের সব অবৈধ বাঁধ উচ্ছেদের দাবিতে আন্তর্জাতিক ফোরামকে অন্তর্ভুক্ত করা।
জেএন/এমআর