আর্মি ট্রেনিং অ্যান্ড ডকট্রিন কমান্ডের জিওসি লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমানকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরেক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ সাইফুল আলমকে অকালীন বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে ১০ সেপ্টেম্বর এই দুই কর্মকর্তার ব্যাপারে পৃথক দুটি আদেশ জারি করা হয়।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দুই পদস্থ কর্মকর্তার বরখাস্ত ও অকালীন বাধ্যতামূলক অবসরের ব্যাপারে জানতে চেয়ে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরে যোগাযোগ করা হলে তাঁরা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল মজিবুর রহমান এর আগে সেনা সদর দপ্তরে কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) অতিরিক্ত মহাপরিচালক ছিলেন। হোলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার সময় ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করে তিনি আলোচনায় আসেন। পরে তিনি এসএসএফের মহাপরিচালক হন। গণভবনে থাকা অবস্থায় তিনি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেশ–বিদেশ সফর করেন।
দেশে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করা হয়। এর আগে তিনি ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজের কমান্ড্যান্ট ছিলেন।
এ ছাড়া তিনি সেনাবাহিনীর কোয়ার্টার মাস্টার জেনারেল, ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্সের (ডিজিএফআই) মহাপরিচালক এবং ১১ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সর্বশেষ বাংলাদেশ ব্যাংকের ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) লেফটেন্যান্ট জেনারেল সাইফুল আলমের ব্যাংক হিসাব জব্দ করে। একই সঙ্গে তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নামে থাকা অ্যাকাউন্ট এবং তাঁদের মালিকানাধীন ব্যবসার ব্যাংক অ্যাকাউন্টও স্থগিত করা হয়।
জেএন/এমআর