ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ৭ দিন রিমান্ডে

আইন-আদালত ডেস্ক :

রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে ক্রসফায়ারের নামে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় ডিএমপির সাবেক পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

- Advertisement -

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাকে হাজির করে পুলিশ।

- Advertisement -google news follower

এরপর মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খিলগাঁও থানার এসআই গোলাপ মাহমুদ।

শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম রিমান্ডের এ আদেশ দেন।

- Advertisement -islamibank

এদিকে রিমান্ড শুনানি শেষে আসাদুজ্জামান মিয়াকে যখন আদালত থেকে বের করা হচ্ছিল তখন অজ্ঞাত পরিচয় এক যুবক তাকে মারতে তেড়ে যান।

কিন্তু আদালতের ফটকে পুলিশের বাধার কারণে তাকে না মারতে পেরে ওই যুবক পুলিশের সঙ্গে সঙ্গে আদালতের হাজত খানা পর্যন্ত যান।

হাজতখানার গেটের সামনে পৌঁছানোর পর ওই যুবক পুলিশকে ধাক্কা দিয়ে প্রায় সাবেক ডিএমপি কমিশনারের কাছে চলে যান এবং তাকে মারতে হাত তোলেন।

কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা ওই যুবককে ধরে ফেলেন এবং তাকে হাজতখানার গেট থেকে ধাক্কা দিয়ে দূরে সরিয়ে দেন। পরে পুলিশ সদস্যরা ঐ যুবকের পরিচয় জানতে চাইলে সে দ্রুত আদালত প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে।

গত ১১ সেপ্টেম্বর রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করে র‍্যাবের একটি দল।

জানা যায়, ২০১৫ সালের ১৯ জানুযারি সকালে নূরুজ্জামান জনি ও তার সহপাঠী মইন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে ছোট ভাই মনিরুজ্জামান হীরাকে দেখতে যান। কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ফেরার পথে আসামিরা জনি ও মইনকে ডিবি পরিচয় দিয়ে অবৈধভাবে আটক করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে নির্যাতন চালায়।

তখন নুরুজ্জামান জনির ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুনিয়া পারভিনসহ আত্মীস্বজনরা খিলগাঁও থানা, ডিবি দক্ষিণ অফিস, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অফিসসহ বিভিন্ন থানায় হন্য হয়ে খুঁজে বেড়ান।

প্রায় ২দিন ধরে খোঁজাখুজি করার পরও নুরুজ্জামান জনির কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরবর্তীতে ২০ জানুয়ারি রাত আনুমানিক ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার দিকে খিলগাঁও থানার জোড়াপুকুর খেলার মাঠের আশপাশের লোকজন কান্নার শব্দ শুনতে পান।

ঘটনাস্থলের পাশে সি-ব্লকের বাসিন্দা লাভলী বেগম ও এ-ব্লকের বাসিন্দা সাইফুদ্দিনের স্ত্রী সানজিদা আক্তার সেতু কান্না ও চিৎকারের শব্দ শুনতে পান। সেই সময় আশপাশ এলাকার বাসিন্দারা গুলির শব্দ শুনতে পায়।

ভোরে বাদীসহ সাক্ষীরা ও প্রতিবেশীরা খিলগাঁও থানার জোড়াপুকুর মাঠের দিকে গিয়ে পুলিশদের দেখতে পান। আসামিরা বলেন, নুরুজ্জামান জনি পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন। তার মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে।

এ অভিযোগে ডিএমপির তৎকালীন পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াসহ পুলিশের বর্তমান ও সাবেক ১৩ কর্মকর্তাসহ ৬২ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।

ঘটনার ৯ বছর পর গত ২ সেপ্টেম্বর খিলগাঁও থানায় জনির বাবা ইয়াকুব আলী বাদী হয়ে মামলা করেন।

জেএন/পিআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM