জাপানের টোকিওর একটি ক্যাফে। নাম- ডন ভের বিটা ক্যাফে। মজার ব্যাপার হলো, এই রেস্টুরেন্টে খাবার পরিবেশন করে রোবটরা!
এর বাইরে আরেকটি কারণে এই ক্যাফেটি একেবারে আলাদা। ক্যাফের রোবটদের চালনা যে করে শারীরিক প্রতিবন্ধীরা! আরেকটু সহজ করে বললে, এসব প্রতিবন্ধীর চোখের পাতার নড়াচড়ার উপর।
ক্যাফেতে থাকা চার ফুটের রোবটগুলির নাম ‘ওরিহাইম ডি’। তাদেরই নিয়ন্ত্রণ করেন অ্যামিওট্রফিক ল্যাটারাল স্ক্লেরোসিস বা শিরদাঁড়ার সমস্যায় যাঁরা শয্যাশায়ী তাঁরা। বেশিরভাগ রোগীই কিন্তু পক্ষাঘাতগ্রস্ত।
ওই ব্যক্তিদের চোখের পাতার নড়াচড়ার সঙ্গে কম্পিউটারের সংযোগ রয়েছে। ঠিক যেভাবে মোটর নিউরন রোগে আক্রান্ত বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং যোগাযোগ রাখতেন বাইরের জগতের সঙ্গে।
রোবটগুলি নড়াচড়া করতে পারে, জিনিসপত্র তুলতে-রাখতে, খদ্দেরদের সঙ্গে টুকটাক কথাও বলতে পারে।
যে মানুষগুলো অনেক সময়ই হতাশায়-অবসাদগ্রস্ততায় ভোগেন, নিজেদের অক্ষম ভাবেন, তাঁরা যাতে নিজেদের মূল্য বোঝেন, গুরুত্ব বোঝেন, তাই তাঁদের নেওয়া হয়েছে এই প্রকল্পে।
শরীর নড়াচড়া করতে না পারলেও যাতে কাজ চালিয়ে যেতে পারেন ওই ব্যক্তিরা, তাই এমন ভাবনা। প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ শুরু হলেও ২০২০ সালে এটি স্থায়ীভাবে শুরু হবে, জানান ওরি ল্যাবের সিইও কেন্তারো ইউসিফুসি। ব্যতিক্রমী এই ক্যাফের ভাবনাটিও তাঁর।
এই ক্যাফে থেকে প্রতিবন্ধীরা প্রতি ঘণ্টায় আয় করেন ৯ ডলারের সামান্য বেশি। বাংলাদেশি টাকায় যা ৭৫০ টাকারও বেশি!