আমদানির পরও খালাস না নেওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে থাকা এমন দু’টি বিলাসবহুল গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য তুলছে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
এর মধ্যে ৫ কোটি টাকা দামের ল্যান্ড ক্রুজার গাড়িটি ২০২১ সালের ৩০ জুলাই মৃত্যুবরণ করা কুমিল্লা-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য প্রয়াত আলী আশরাফ শুল্কমুক্ত সুবিধায় এনেছিলেন বলে তথ্য পাওয়া গেছে।
অন্যটি মার্সিডিজ বেঞ্জ। দাম ১৬ কোটি টাকা। গাড়িটি ঢাকার বারিধারার গাড়ি বিপণনকারী একটি প্রতিষ্ঠানের নামে আমদানি করা হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
আগামী বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দু’টি বিলাসবহুল গাড়িসহ অন্তঃত ৪৬ আইটেমের পণ্য নিলামে বিক্রির জন্য তোলা হবে। যা নিকটতম সময়ের মধ্যে কাস্টমসের সবচেয়ে বড় নিলাম হিসেবে আলোচিত হচ্ছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমসের উপ-কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘চট্টগ্রাম কাস্টমস ৪৬ ধরনের পণ্য নিলামে বিক্রির জন্য একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এতে দুটি গাড়িসহ আরও বিভিন্ন ধরনের আমদানি পণ্য আছে।
এসব পণ্য বিভিন্নসময় আমদানি করা হয়েছে অথচ খালাস নেয়নি। আমদানিকারককে বারবার নোটিফাই করার পরও যেহেতু খালাস নেয়নি, সেজন্য এগুলো নিলামে চলে যাচ্ছে।’
জানা গেছে, দু’টি গাড়ি ছাড়াও নিলামে উঠবে এমন বাকি পণ্যের মধ্যে আছে- ফ্লোর টাইলস, ডেনিম ফেব্রিক্স, সোডিয়াম সালফেট, কটন, আম-আপেল ও আনারসের জুস ও পলিস্টার।
এর মধ্যে ফ্লোর টাইলসের নিলামের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে এক কোটি ৪৩ লাখ টাকা, ডেনিম ফেব্রিক্সের এক কোটি ২৫ লাখ টাকা, সোডিয়াম সালফেটের ৯৯ লাখ টাকা, কটনের ৮৮ লাখ টাকা, জুস ৭২ লাখ টাকা এবং পলিস্টার ৯৩ লাখ টাকা।
দুটি গাড়ির মধ্যে মার্সিডিজ বেঞ্জের নিলামের ভিত্তিমূল্য ধরা হয়েছে ১৬ কোটি ১০ লাখ টাকা ও ল্যান্ড ক্রুজারের ৫ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানিয়েছেন, দু’টি গাড়ি নিলামের জন্য কাস্টমসের কাছে হস্তান্তরের পরও বন্দরের ইয়ার্ডে এখনো ৩৯৯টি গাড়ি নিলামযোগ্য অবস্থায় আছে।
এছাড়া আমদানির পর যথাসময়ে খালাস না নেওয়ায় আরও বিভিন্ন ধরনের পণ্যের কারণে বন্দরের ইয়ার্ডে স্থান সংকট তৈরি হয়েছে।
জেএন/পিআর