পদ্মা সেতুতে চুবিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও বর্তমান সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসকে হত্যার হুমকি দেয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা হয়েছে।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালত এই মামলা দায়ের করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন আদালতের বিচারক জুয়েল দেবের আদালতে নগরীর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সৌরভ পাল মামলাটি দায়ের করেন।
বাদীর আইনজীবী জানান, মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এই মামলার মধ্যে দিয়ে বাদি সঠিক বিচার পাওয়ার কথা জানান।
২০২২ সালের ১৮ মে এক অনুষ্ঠানে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিএনপি চেয়ারপারসনের সমালোচনা করে বলেন, খালেদা জিয়া বলেছিল জোড়াতালি দিয়ে পদ্মাসেতু বানাচ্ছে। ওখানে চড়া যাবে না, ভেঙে পড়বে। এর সাথে যুক্ত ছিল তার (খালেদা জিয়ার) দোসররাও। তাদেরকে কী করা উচিত? পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে পদ্মা নদীতে টুস করে ফেলে দেয়া উচিত।
ড. ইউনূসকে উদ্দেশ করে শেখ হাসিনা বলেন, যিনি (ইউনূস) একটি এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো প্রকল্পের টাকা বন্ধ করেছে। তাকেও পদ্মা নদীতে নিয়ে দুটি চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। পদ্মা নদীতে চুবনি দিয়ে সেতুতে তুলে দেয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়।
এসব মন্তব্যের মাধ্যমে বিষোদগার করে বেগম খালেদা জিয়া ও দেশের একমাত্র নোবেল লরিয়েট ড. ইউনূসকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি করেছিলেন। তিনি বেগম খালেদা জিয়া ও ড. ইউনূসকে প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দিয়ে এবং হত্যার ষড়যন্ত্র করে, হত্যার জন্য প্ররোচনা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠন তথা ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, কৃষকলীগের সন্ত্রাসীদের প্ররোচিত করেছিলেন।
বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘২০২২ সালের ১৮ মে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী একটি সংবাদ সম্মেলনে তার দেওয়া বক্তব্যে সাবেক বেগম খালেদা জিয়া এবং বর্তমান প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস সাহেবকে পদ্মা সেতু থেকে ফেলে দেওয়ার অভিপ্রায় জানান। যেটির দ্বারা তাদেরকে হত্যার সুপ্ত ইচ্ছা ব্যক্ত ও মানহানি হয়। তখন পরিস্থিতি বিবেচনায় বাদী মামলা না করলেও বর্তমানে যেহেতু বাকস্বাধীনতা ফিরে এসেছে তাই নগর ছাত্রদলের একজন সাবেক নেতা বাদী হয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে একমাত্র আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন।’
জেএন/এমআর