চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) দ্রুত ভিসি ও প্রো-ভিসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারির দাবিতে সমাবেশ করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সমাবেশ শেষে ক্যাম্পাসের প্রশাসনিক ভবন, প্রধান ফটক ও দুই নাম্বার গেইটে তালা দিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫ টায় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সমাবেশ করে শিক্ষার্থীরা।
এসময় তাদের “ঢাবি, রাবি স্বর্গে, চবি কেন মর্গে?”, “ঢাবি, রাবি ভিসি পেলো, চবি কেন খালি গেলো?”, “আর নয় বিজ্ঞাপন, এবার হোক প্রজ্ঞাপন”, “ভিসি যখন আসবে, চবির তালা খুলবে” প্রভৃতি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
সমাবেশে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী হাবিবুল্লাহ খালেদ বলেন, “গত ৮ সেপ্টেম্বর থেকে আমরা ভিসি নিয়োগের দাবীতে আন্দোলন করে আসছি।
ঢাবি ও রাবিতে ভিসি নিয়োগ হলেও আমরা এখনো বঞ্চিত। আমরা আন্দোলন করার জন্য ক্যাম্পাসে আসিনি। আমরা পড়াশোনার জন্য এসেছি।
অথচ একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী আমাদেরকে আন্দোলনে বাধ্য করে পড়ার টেবিল থেকে বিরত রাখতে চায়। দ্রুত ভিসি ও প্রো-ভিসি নিয়োগ দেওয়া না হলে আমরা কঠোর কর্মসূচীতে যেতে বাধ্য হবো।”
ইসলামিক স্টাডিজ ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন, “আমরা মনে হয় যেন ভার্সিটিতে পড়াশোনা করতে আসিনি, আন্দোলন করতেই এসেছি।
এর মধ্যে যা ছিটেফোঁটা পড়াশোনার সুযোগ হয় এটাই ভাগ্য। আমরা এমন পরিবেশ চাই না। দ্রুত ভিসি নিয়োগ নিয়োগ দিয়ে শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করা হোক।”
আরবি বিভাগের ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নিয়ামতউল্লাহ ফারাবী বলেন, “ভার্সিটির দুইটা অংশ: একাডেমিক আর প্রশাসনিক। একাডেমিক বিভাগের দেখভাল করার জন্যই প্রশাসনিক বিভাগ দায়িত্ব পালন করে। যেখানে অফলাইনে একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে আছে, সেখানে প্রশাসনিক ভবন খোলা রাখার দরকার নাই।
আমরা প্রশাসনিক ভবনে তালা মেরে দিচ্ছি। নতুন ভিসি এসে নিজে হাতে এটা খুলবেন। ততক্ষণ পর্যন্ত চবিতে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করা হলো।”
এর আগে ১২ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন ভিসি অধ্যাপক ড. আবু তাহের। এক মাসেরও বেশি সময় পার হলেও নতুন ভিসি নিয়োগ হয়নি চবিতে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় কার্যত স্থবির হয়ে পড়েছে।
জেএন/পিআর