চার্টার্ড বিমান নয়, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে বাণিজ্যিক ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রে যাবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রধান উপদেষ্টার জাতিসংঘ অধিবেশনে অংশগ্রহণ নিয়ে শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য দেন পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। জাতিসংঘের ৭৯তম অধিবেশনে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সংবাদ সম্মেলন করে।
তৌহিদ হোসেন বলেন, ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে উচ্চপর্যায়ের বিতর্ক পর্ব শুরু হতে যাচ্ছে। এ অধিবেশনে যোগদানের জন্য প্রধান উপদেষ্টা আগামী ২৩ সেপ্টেম্বর (সোমবার) একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে নিউইয়র্কে পৌঁছাবেন।
সাধারণত রাজনৈতিক সরকারের আমলে সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সরকারপ্রধানের সফরসঙ্গীর বিশাল বহর থাকে। তবে ড. ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হবে। জাতিসংঘ সফরে প্রধান উপদেষ্টা এবং প্রটোকল সব মিলে বাংলাদেশ থেকে মোট ৫৭ জনের একটি প্রতিনিধিদল নিউইয়র্ক যাবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোর মতো এবার বাংলাদেশ থেকে শতাধিক সদস্যের প্রতিনিধিদল চার্টার্ড বিমানে নিউইয়র্ক সফর করবে না। বরং যার যেই সংশ্লিষ্টতা বা দায়িত্ব, সে অনুযায়ী যতটা সম্ভব সীমিত আকারে প্রতিনিধিদল গঠন করা হয়েছে। আমি আমার দায়িত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ উচ্চপর্যায়ের সভাগুলোতে অংশ নিতে ভিন্ন একটি ফ্লাইটে দুইদিন আগে নিউইয়র্ক যাব।
আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশনে ড. ইউনূস ভাষণ দেবেন। সফর শেষে ২৭ সেপ্টেম্বর রাতে নিউইয়র্ক থেকে ঢাকার পথে রওনা হবেন প্রধান উপদেষ্টা।
জানা গেছে, নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় অনুযায়ী ২৭ সেপ্টেম্বর সকালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে নির্ধারিত বক্তৃতা দেবেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার বক্তৃতায় বাংলাদেশে ৫ আগস্ট—পরবর্তী রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশের জনগণ ও সরকারের দর্শন প্রতিফলিত হবে। বিশেষ করে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে নিজেদের গর্বিত ও মর্যাদাশীল দেশের জনগণ হিসেবে বাংলাদেশ বিশ্ব পরিমণ্ডলে কীভাবে নিজেদের তুলে ধরবে, সেটিই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে জানাবেন প্রধান উপদেষ্টা।
দেশের ভবিষ্যৎ আকাঙ্ক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি ভূরাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্ত হতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে উদাত্তভাবে আহ্বান জানাবেন।
জেএন/এমআর