‘বিদেশিরা আসবেন, কথা বলবেন, মতামত চাইবেন, মতামত দেব আমরা। এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু একজন সাদা চামড়ার মানুষকে নিয়ে এসে মনগড়া বক্তব্য দিয়ে জলঘোলা করতে চাইছে বিএনপি।’
বৃহস্পতিবার (২৭ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত ‘সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায়’ এ অভিযোগ তোলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।
নওফেল বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুজন এক্সপার্ট, কানাডীয় হাইকমিশনার, ব্রিটিশ হাইকমিশনের রাজনৈতিক বিশ্লেষক আমার কাছেও এসেছিলেন। আমি কথা বলেছি। আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গেও তারা আলোচনা করেছেন। কিন্তু আলোচনা শেষে তিনি গণমাধ্যমের কাছে কিছু মিথ্যা, ভিত্তিহীন বক্তব্য তুলে ধরে জলঘোলা করার চেষ্টা করেছেন। বিদেশি ব্যক্তিরা বলেছিলেন, তাদের সাথে যে আলোচনাটা হয়েছে, সেটা নিয়ে গণমাধ্যমে আমরা যেন কোন ব্রিফিং না দিই।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণ করেছেন উল্লেখ করে নওফেল বলেন, বিদেশি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সঙ্গে নির্বাচন সংক্রান্ত বৈঠক নিয়ে বিএনপি নেতারা নোংরা রাজনীতি করছেন। বিবৃতি দেওয়ার যে নোংরা রাজনৈতিক সংস্কৃতি চালু করা হয়েছে, আমরা এই বিকৃত মানসিকতার প্রতিবাদ করছি।
তিনি বলেন, আমি পরিষ্কার করে তাদের বলেছি, বিএনপি এবং জামায়াত একীভূত হয়ে বিভিন্ন পরিকল্পনা করছে। তারা এর আগে মানুষ পুড়িয়েছে, মানুষ খুন করেছে, জনজীবনে বিঘ্ন ঘটিয়েছে, সরকারি এবং মানুষের সম্পত্তি বিনষ্ট করেছে। বিদেশিদের কাছেও আশঙ্কা আছে যে, জামায়াতে ইসলামীর মতো সন্ত্রাসী সংগঠন এসব কাজ করবে। শুধুমাত্র বিদেশিদের এই মনোভাবকে ঢাকা দেওয়ার জন্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী পরিকল্পিতভাবে মিথ্যাচার করেছেন।’
মতবিনিময় সভায় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীদের মধ্যে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড ও নগরের একাংশ) আসনের দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও নগরের একাংশ) আসনের লাঙল প্রতীকের প্রার্থী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী-চান্দগাঁও) আসনের মইন উদ্দিন খান বাদল, চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী-বাকলিয়া) আসনের মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং ও হালিশহর) আসনের ডা. আফছারুল আমিন উপস্থিত ছিলেন। তবে চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনের নৌকার প্রার্থী এম এ লতিফ সভায় আসেননি।
নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি খোরশেদ আলম সুজন ও আলতাফ হোসেন বাচ্চু, প্রচার সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক, আইন সম্পাদক ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, জাসদ নেতা ইন্দু নন্দন দত্তসহ জ্যেষ্ঠ নেতারা ছিলেন।