বিশ্ব হার্ট দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ইউজ হার্ট ফর অ্যাকশন’ অর্থাৎ ‘হৃদয় দিয়ে হৃদরোগ প্রতিরোধের জন্য সক্রিয়ভাবে কাজ করতে হবে’। প্রতিপাদ্যে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি সবাইকে হৃদযন্ত্রের যত্ন নিতে সাহায্য করার জন্য তাদের সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বান করা হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতি বছর মোট মৃত্যুর ৬৭ শতাংশ সংঘটিত হয় অসংক্রামক রোগের কারণে। হৃদরোগ, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, শ্বাস রোগের মতো এসব অসংক্রামক রোগে প্রতিবছর দেড় কোটি মানুষ মারা যায়; যাদের বয়স ৩০ থেকে ৬৯ এর মধ্যে। এই মৃত্যুর ৮৫ শতাংশই নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোতে ঘটে। বাংলাদেশও এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন- তাদের মধ্যে ১৭ শতাংশরই হৃদরোগের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। বাংলাদেশে প্রতি পাঁচজন তরুণের একজন হৃদরোগের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। বয়স, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা, উচ্চ কোলেস্টোরেলের মাত্রা, অতিরিক্ত মেদ, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, মদ্যপান, মানসিক চাপ হার্ট অ্যাটাকের জন্য দায়ী।
এ বিষয়ে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিন বলেন, হৃদরোগের বড় কারণ হচ্ছে তামাকের ব্যবহার, কায়িক পরিশ্রম না করা, অস্বাস্থ্যকর চর্বি, ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণ ও লবণ বেশি খাওয়া এবং ওজন বেড়ে যাওয়া। এতে উচ্চ রক্তচাপ অথবা ডায়াবেটিস হচ্ছে। যাদের এই রোগ হচ্ছে তাদের ইস্কেমিক হার্ট ডিজিজ বেশি হচ্ছে। যারা ধূমপান করছে তাদের এই ঝুঁকি দ্বিগুণ হচ্ছে। উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তদের হার্ট ফেইলর, হার্ট অ্যাটাক চার থেকে দশগুণ পর্যন্ত বেড়ে যাচ্ছে। যা অকাল মৃত্যুর বড় কারণ হিসাবে দিচ্ছে। তামাক-উচ্চ রক্তচাপজনিত হৃদরোগ প্রতিরোধে এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে।
এদিকে দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারিভাবে আলোচনা সভা, র্যালিসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কর্মসূচি পালিত হবে। গতকাল ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন একটি আলোচনা সভা আয়োজন কারে। এছাড়া আজ সকাল ১১টায় গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান (প্রজ্ঞা) উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ ঝুঁকি শীর্ষক ওয়েবিনারের আয়োজন করেছে। দুপুর ১টায় এভারকেয়ার হাসপাতালে পেশেন্ট ফোরাম অনুষ্ঠিত হবে।
জেএন/এমআর