ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ হোসেন পুতুল এবং তাঁর বোন শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববির ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
এ ছাড়া আওয়ামী লীগের গবেষণা সেল সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই), সিআরআই-ইয়াং বাংলা প্রজেক্ট এবং সাবেক মন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর, প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানের অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব হিসাবের লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য চাওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সব ব্যাংকে এ-সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
সজীব ওয়াজেদ জয় সিআরআইর চেয়ারম্যান, পুতুল ভাইস চেয়ারম্যান এবং ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ববি। আর ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য সাবেক বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। দলীয় বিভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও জনমত গঠনে ২০১০ সালে দৃশ্যমান হয় সিআরআই। ২০১৪ সালে ‘ইয়াং বাংলা’ নামে অঙ্গপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়।
সিআরআইর তত্ত্বাবধানে কয়েক বছর ধরে যুব উদ্যোক্তা ও প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে চালু করা হয় ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড’। আর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণকে কেন্দ্র করে ‘জয় বাংলা কনসার্ট’ হয়ে আসছিল।
বিএফআইইউ একটি চিঠিতে মহীউদ্দীন খান আলমগীর, তাঁর স্ত্রী সিতারা আলমগীর ও তাদের যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সন্তান জয় আলমগীরের হিসাব ফ্রিজের নির্দেশনা দিয়েছে। তাদের নিজ নামে বা স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে কোনো ব্যাংকে লেনদেন পরিচালিত হলে তার বিবরণী, হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসিসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।
বিএফআইইউর অপর এক চিঠিতে ঢাকা মহানগর পুলিশের সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, তাঁর স্ত্রী ওয়াজেদ শামসুন্নাহার ও তাদের কোনো সন্তান থাকলে এবং কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে সে হিসাব ফ্রিজের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাদের নামে কোনো ব্যাংকে লকার সুবিধা থাকলে তাও স্থগিত করতে বলা হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর থেকে অনেকের হিসাব ফ্রিজ করেছে বিএফআইইউ। তালিকায় সাবেক মন্ত্রী, এমপি, পুলিশের দুর্নীতিগ্রস্ত বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, ব্যবসায়ীসহ অনেকে রয়েছেন। বিএফআইইউ ছাড়াও দুদক, এনবিআরসহ বিভিন্ন সংস্থা বিগত সরকারের প্রভাবশালীদের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে কাজ করছে।
জেএন/এমআর