চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম বলেছেন, জন্ম নিবন্ধন ও মৃত্যু নিবন্ধন প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার এ বিষয়টিকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছেন। সরকারি-বেসরকারী সুযোগ-সুবিধা নিতে হলে প্রথমে প্রয়োজন জন্ম নিবন্ধন। তাই একটি শিশু জন্ম নেওয়ার পর ৪৫ দিনের মধ্যে বিনা খরচে জন্ম নিবন্ধন করা যায়। সকল ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গকে গুরুত্বের সাথে যাচাই-বাছাই সাপেক্ষে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের কাজ সম্পন্ন করতে হবে।
জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবস উপলক্ষে আজ ৬ অক্টোবর রবিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল‘ জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন, আনবে দেশে সুশাসন’।
দিবসটি উপলক্ষে আলোচনা সভার পূর্বে বেলুন উড়িয়ে দিবসটির শুভ উদ্বোধন করেন বিভাগীঅয় কমিশনার। এর পর বিভাগীয় কমিশনারের নেতৃতে সার্কিট হাউজ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হয়। র্যালিটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম বলেন, প্রতিটি শিশুকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা আমাদের সবার দায়িত্ব। শিশু জন্মের সঙ্গে সঙ্গে যাতে সে নাগরিকত্ব পায় সে জন্য অর্ন্তবর্তী সরকার জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন ব্যবস্থাকে আরও শক্তিশালী করার উদ্যোগ নিয়েছেন। জন্মের পর পর কোন শিশু যাতে জন্ম নিবন্ধন সনদ পাওয়া থেকে বঞ্চিত না হয় সে ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক হতে হবে।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানমের সভাপতিত্বে ও আরডিসি রাজীব হোসাইনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ সাদি-উর রহিম জাদিদ ও ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ওয়াজেদ চৌধুরী অভি।
অনুষ্ঠানে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর