বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশ থেকে অনেক টাকা পাচার হয়েছে। দেশে গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। আমাদের ৪ হাজার এমসি গ্যাস দরকার। সেখানে আমরা ৩ হাজার এমসি গ্যাস পাচ্ছি। প্রয়োজনে আমাদের গ্যাস আমদানি করতে হচ্ছে। এর জন্য প্রচুর পরিমাণে বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হয়। এ মুহূর্তে বাসাবাড়িতে গ্যাস দেওয়া হবে, আমাদের জন্য এটি মিথ্যা আশ্বাস।
রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালীর উপজেলার অম্বরনগরে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট কুপ) খনন কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
বাসাবাড়িতে গ্যাস সরবরাহের প্রসঙ্গ টেনে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, তবে ভবিষ্যতে গ্যাস সরবরাহ বাড়লে তখন এ বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে। বিবিয়ানার পরে এখনও দেশে পর্যাপ্ত পরিমাণ গ্যাসের কোনো কুপে পাওয়া যায়নি।
ফাওজুল কবির বলেন, দেশে লুটপাট হয়েছে, এটা আপনারা সবাই জানেন। অন্তর্বর্তী সরকারে থেকে আমরা দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকব। আমাদের অনুসরণ করে সচিবরাও দুর্নীতির ঊর্ধ্বে থাকবেন। আগে গ্যাসের দাম সরকার নির্ধারণ করতো। এখন আর সরকার করে না। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে। তারা গ্রাহক ও যারা এলপি গ্যাস আমদানি করে তাদের সঙ্গে কথা বলে বোতলজাত গ্যাসের দাম নির্ধারণ করে।
এ সময় নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল ফারুকসহ বাংলাদেশে পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (বাপেক্স) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর