এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল আজ মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) প্রকাশ করা হবে। বেলা ১১টায় ফল প্রকাশের কথা রয়েছে। শিক্ষার্থীরা ওয়েবসাইট থেকে এবং মোবাইলে এসএমএসের মাধ্যমে ফল জানতে পারবেন। এছাড়াও নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ফলাফল টাঙিয়ে দেওয়া হবে।
এবার সম্পূর্ণ ভিন্ন আঙ্গিকে এইচএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করতে যাচ্ছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। যেখানে থাকছে না কোনো আনুষ্ঠানিকতা। সরকারপ্রধান বা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টাও ফলাফল প্রকাশের কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন না। সব প্রথা বা রীতি ভেঙে স্ব স্ব বোর্ড চেয়ারম্যানরা ফল ঘোষণা করবেন।
বিগত বছরগুলোতে সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফলাফলের সারসংক্ষেপ তুলে দিতেন। সেখান থেকে প্রধানমন্ত্রী ফল প্রকাশের ঘোষণা দিতেন। এরপর শিক্ষামন্ত্রী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট অথবা সচিবালয় থেকে এইচএসসির ফলাফল বিস্তারিতভাবে গণমাধ্যমের সামনে তুলে ধরতেন। এ প্রক্রিয়া এক রকম রীতি হয়ে উঠেছিল। এতে অনেক সময় ফল প্রকাশে দেরি হতো। এবার সেই ধারায় পরিবর্তন আনছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ফলাফল জানা যাবে যেভাবে
শিক্ষার্থীরা কীভাবে ফল জানতে পারবেন, তা এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উল্লিখিত যে কোনো পদ্ধতিতে নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের Result sheet download করা যাবে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট www.dhakaeducationboard.gov.bd, www.educationboardresults.gov.bd ও www.eduboardresults.gov.bd-এ Result কর্নারে ক্লিক করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের EIIN এন্ট্রি করে প্রতিষ্ঠানভিত্তিক Result sheet download করা যাবে এবং রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বরের মাধ্যমে Result sheet download করতে পারবেন।
Android Phone-এ বোর্ডের অ্যাপ থেকেও ফল পাওয়া যাবে। এ ছাড়া পরীক্ষার্থীরা এসএমএসের মাধ্যমে প্রি-রেজিস্ট্রেশন করে ফল জানতে পারবেন।
যেকোনো অপারেটরের মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে HSC<>Board Name (First 3 Letter) <> Roll <> Year টাইপ করে 16222 নম্বরে পাঠাতে হবে। যেমন: বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের জন্য HSC <> Bar <> Roll < 2023 Send to 16222। ফলাফল প্রকাশের সঙ্গে সঙ্গে প্রি-রেজিস্ট্রেশনকৃত পরীক্ষার্থীদের মোবাইল নম্বরে তাদের ফল পৌঁছে যাবে।
উল্লেখ্য, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী সাড়ে ১৪ লাখ শিক্ষার্থী। পরীক্ষা শুরু হয় গত ৩০ জুন। তবে বন্যার কারণে সিলেট বোর্ডের পরীক্ষা শুরু হয় ৯ জুলাই। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কারণে স্থগিত হওয়ার আগে ছয় থেকে সাতটি পরীক্ষা হয়েছিল। বাকি বিষয়গুলোর লিখিত এবং ব্যবহারিক পরীক্ষা বাকি ছিল। কয়েক দফা স্থগিত হওয়ার পর ১১ সেপ্টেম্বর থেকে পরীক্ষাগুলো শুরুর কথা ছিল। কিন্তু ২০ আগস্ট শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে বাকি পরীক্ষা বাতিল করে সরকার।
জেএন/এমআর