মাত্র ৩ দিনের ব্যবধানে আবার হ্যাটট্রিক করলেন লিওনেল মেসি। ১৬ অক্টোবর বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে র্জেন্টিনার হয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে হ্যাটট্রিক করেছিলেন তিনি।
আর্জেন্টাইন তারকা এবার হ্যাটট্রিক করেছেন ক্লাব ফুটবলে, ইন্টার মায়ামির হয়ে।
আজ (রোববার) বাংলাদেশ সময় ভোর ৪টায় ঘরের মাঠ ফোর্ট লডারডেলের চেজ স্টেডিয়ামে খেলতে নামে ইন্টার মায়ামি।
মেসির হ্যাটট্রিক ও লুইস সুয়ারেজের জোড়া গোল মিলিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের মেজর লিগ সকারে (এমএলএস) নিউ ইংল্যান্ডকে ৬-২ ব্যবধানে হারিয়েছে ইন্টার মায়ামি।
এই জয়ে এমএলএসের নিয়মিত মৌসুমে সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ড ভেঙেছে ফ্লোরিডার দলটি।
৩৪ ম্যাচ শেষে তাদের পয়েন্ট ৭৪, যেখানে রয়েছে ২২টি জয় ও ৮টি ড্রয়ের সঙ্গে ৪ ম্যাচে হার।
এর আগে এমএলএসের এক মৌসুমে সর্বোচ্চ ৭৩ পয়েন্ট পাওয়ার রেকর্ডটি ছিল এই ম্যাচের প্রতিপক্ষ নিউ ইংল্যান্ডের। যা তারা গড়েছিল ২০২১ সালে। সেই রেকর্ড ভেঙে এমএলএসে নতুন ইতিহাস গড়লেন মেসি-সুয়ারেজরা।
ম্যাচের শুরুটা মায়ামির জন্য অন্য রকমই ছিল। ২ মিনিটেই গোল খেয়ে বসে তারা, ৩৪ মিনিটে নিউ ইংল্যান্ড ব্যবধান ২-০ করে। ৪০ থেকে ৪৩—এই তিন মিনিটের মধ্যে সুয়ারেজের জোড়া গোলে অবশ্য ২-২ সমতা নিয়ে প্রথমার্ধ শেষ করে মায়ামি।
আন্তর্জাতিক ফুটবলের ধকলের কারণে মেসিকে শুরুর একাদশে রাখেননি মায়ামির কোচ জেরার্দো মার্তিনো। ৫৮ মিনিটে বদলি হিসেবে মাঠে নেমে গোলের ফোয়ারা ছুটিয়েছেন আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।
মেসি মাঠে নামার পরপরই বেঞ্জামিন ক্রিমাশ্চির গোলে এগিয়ে যায় মায়ামি। ৭২ মিনিটে মায়ামির জালে বল পাঠিয়েও গোল পায়নি নিউ ইংল্যান্ড। ভিএআরের সাহায্য নিয়ে গোলটি বাতিল করেন রেফারি।
এরপরই শুরু মেসি-ম্যাজিক। ৭৮ থেকে ৮৯—১১ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন আর্জেন্টাইন তারকা। মেসির তিনটি গোলকে বলা যায় মায়ামির ‘বার্সা-শো’।
৭৮ মিনিটে তাঁর প্রথম গোলটিতে সহায়তা করেন বার্সেলোনার সাবেক স্ট্রাইকার সুয়ারেজ, ৮১ মিনিটে মেসির দ্বিতীয় গোল বার্সেলোনার আরেক সাবেক তারকা জর্দি আলবার সহায়তায়, ৮৯ মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করা গোলে আবার অবদান সুয়ারেজের।
আজকের হ্যাটট্রিক নিয়ে এমএলএসের এ মৌসুমে ১৯ ম্যাচে তাঁর গোলসংখ্যা এখন ২০টি। তাঁর সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজও জোড়া গোল করে সংখ্যাটা নিয়ে গেছেন ২০-এ। সুয়ারেজ মেসির সমান গোল করেছেন ২৭ ম্যাচ খেলে।
ম্যাচ শেষে মেসিকে বদলি হিসেবে নামানে এবং তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে মায়ামির কোচ মার্তিনো বলেছেন, ‘বড় একটা চোটের পর তার সেরে ওঠা এবং আবার দলের সঙ্গে যুক্ত করা নিয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হয়েছে। জাতীয় দল এবং আমরাও এটা নিয়ে খুব সতর্ক ছিলাম।’
মার্তিনো এরপর যোগ করেন, ‘আমার মনে হচ্ছে যে বছরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময়টার মুখোমুখি হওয়ার আগে তাকে আমরা আদর্শ শারীরিক অবস্থায় পেয়েছি।’
আগের ম্যাচ জিতেই মৌসুমের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল হিসেবে প্রথম এমএলএস সাপোর্টার্স শিল্ড জিতেছিল মায়ামি।
আজ সেটি নিয়ে আনুষ্ঠানিক উদযাপনে মাতেন মেসি-আলবা-সুয়ারেজরা। এটি ২০২০ সালে ক্লাব প্রতিষ্ঠার পর তাদের প্রথম এমএলএস শিরোপা।
আজকের ইতিহাসগড়া জয়ের পর মায়ামি প্লে-অফের সব ম্যাচই হোম ফিল্ড অ্যাডভান্টেজে খেলবে।
শুক্রবার তারা প্লে-অফের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে সিএফ মন্ট্রিল এবং আটালান্টা ইউনাইটেডের মধ্যে বিজয়ী দলের সঙ্গে।
জেএন/পিআর