সীতকুণ্ডে বিচ্ছিন্ন কয়েকটি ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাধারণ ভোটারদের পাশাপাশি ভোট দিতে গেছে জামায়াত নেতাদেরও।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, বিএনপির প্রার্থী কেন্দ্রীয় বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লায়ন আসলাম চৌধুরী বড়ভাই ইসহাক কাদের চৌধুরীর ওপর ককটেল হামলা হয়েছে। এতে আসলাম চৌধুরীর মেয়ে শর্মিলা চৌধুরী ও ভাতিজা আদনান চৌধুরীসহ পরিবারের ৫ সদস্য আহত হয়েছেন।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে এ দাবি নাকচ করা হয়েছে। সীতাকু- মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. দেলওয়ার হোসেন জয়নিউজকে বলেন, ইসহাক কাদের চৌধুরী সকালে শতাধিক নেতা নিয়ে কেন্দ্রে আসার সময় তার ছেলের সঙ্গে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাকবিত-া হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাতাতি হয় বলে শুনেছি।
অপরদিকে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ, অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে বলে দাবি করেছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী এমপি দিদারুল আলম। তিনি জয়নিউজকে বলেন, ভোটাররা নির্ভয়ে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছে।
ইসহাক কাদেরের ওপর হামলা বিষয়ে তিনি বলেন, তাদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে এ ঘটনা ঘটতে পারে।
ভোট দিয়েছেন জামায়াত নেতারাও
সীতাকুণ্ডে উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা শফিকুল মাওলা স্ত্রীকে নিয়ে সকাল ১০টার দিকে সীতাকুণ্ড বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ কেন্দ্রে ভোট দেন। এসময় কেন্দ্রে বিএনপি-জামায়াতের অসংখ্য ভোটারদের দেখা গেছে। তাদের ভোট দিতে সহায়তা করতে দেখা গেছে স্থানীয় কাউন্সিলর শফিউল আলম মুরাদকে।
উপজেলা জামায়াতের সাবেক আমির মাওলানা শফিকুল মাওলা জয়নিউজকে বলেন, সুন্দর পরিবেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরিবেশ ভালো থাকায় কেন্দ্রে স্ত্রীকে নিয়ে ভোট দিয়েছি।