চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিনে টনি ডি জর্জি ও ট্রিস্টান স্টাবস এবং দ্বিতীয় দিনে সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন উইন মুল্ডার। এই তিন প্রোটিয়া ব্যাটারের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ৫৭৭ রানের পাহাড় গড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
প্রথম দিনে মাত্র ২ উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। এইডেন মার্করাম ৩৩ ও স্টাবস ১০৬ রান করে আউট হন। ডি জর্জি ১৪১ ও ডেভিড বেলিংহাম ২৫ রান নিয়ে দ্বিতীয় দিনের খেলা শুরু করেন।
দ্বিতীয় দিনে ফিফটি তুলে নেন বেলিংহাম। দলীয় ৩৮৬ রানে ৭৮ বলে ৫৯ রান করে আউট হন তিনি। বেলিংহামের বিদায়ে ভাঙে ১১৬ রানের জুটি।
এরপর দ্রুতই আরও তিন উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচে ফেরার আভাস দেয় বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন তাইজুল ইসলাম। জর্জি ১৭৭, রায়ান রিকেলটন ১২ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান কেইল ভেরেইন
এরপর সেনুরান মুথুসামিকে সঙ্গে নিয়ে টাইগার বোলারদের ওপর চড়াও হন মুল্ডার। ১৫০ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। মুল্ডারের সেঞ্চুরির পরই ইনিংস ঘোষণা করে দক্ষিণ আফ্রিকা। মুল্ডার ১৫০ বলে ১০৫ ও মুথুসামি ৭৫ বলে ৭০ রানে অপরাজিত থাকেন।
জবাবে তৃতীয় সেশনের শেষ দিকে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান সংগ্রহ করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে বাংলাদেশ।
৫৭৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ১০ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান ওপেনার সাদমান ইসলাম।
এরপর ১৯ রানের মধ্যে আরও দুই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। জাকির হাসান ৮ বলে ২ ও মাহমুদুল জয় ৭ বলে ৩ রান করে আউট হন।
নাইট ওয়াম্যান হিসেবে ক্রিজে আসেন হাসান মাহমুদ। তবে সুবিধা করতে পারেননি তিনি। দলীয় ৩২ রানে ৭ বলে ৩ রান করে ফিরে যান তিনি। এরপর ক্রিজে আসা নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে দিনের বাকী সময় পার করেন মুমিনুল হক।
দ্বিতীয় দিন শেষে ৯ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৩৮ রান সংগ্রহ করেছে বাংলাদেশ। শান্ত ৬ বলে ৪ ও মুমিনুল ১০ বলে ৬ রানে অপরাজিত আছেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কাগিসো রাবাদা নেন ২টি উইকেট।
জেএন/পিআর