গণঅভ্যুত্থানের সুফল ধরে রাখতে গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করতে হবে: সিএমইউজে

অনলাইন ডেস্ক

জুলাই বিপ্লবের সুফল ধরে রাখতে দেশের গণমাধ্যমকে ফ্যাসিবাদ এবং তাদের দোসর মুক্ত রাখতে হবে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন-সিএমইউজে নেতৃবৃন্দ। পাশাপাশি সাংবাদিকদের সুরক্ষায় আইন প্রণয়নের দাবিও জানান বিগত ১৮ বছর ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় থাকা পেশাজীবী এই সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

- Advertisement -

৩০ অক্টোবর (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে সিএমইউজে নেতৃবৃন্দ এই দাবি জানান। সংগঠনের সভাপতি শাহ নওয়াজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশ পরিচালনা করেন সিএমইউজে’র সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমান ও দৈনিক দিনকালের ব্যুরো প্রধান হাসান মুকুল।

- Advertisement -google news follower

এতে আরো বক্তব্য রাখেন- চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক সাংবাদিক সমবায় সমিতির সভাপতি মুস্তাফা নঈম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তবর্তীকালীন কমিটির আহবায়ক মঈন উদ্দিন কাদেরী শওকত, সিএমইউজে সদস্য শহিদুল ইসলাম, সাইফুল্লাহ চৌধুরী, আমিনুল ইসলাম, সিএমইউজে’র সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শিল্পী, মাহবুব মাওলা রিপন, মোহাম্মদ হোসেন, আবু সুফিয়ান, কামরুল হুদা, জোবায়েরুল ইসলাম, ওমর ফারুক, বজলুল হক, দৈনিক আজকের পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার আবু বকরসহ অনান্য সাংবাদিকবৃন্দ।

এছাড়া জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের মাঝে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়ক রিদুয়ান সিদ্দিকী, সমম্বয়ক নীলা আফরোজ, সমম্বয়ক তানভীর শরীফ, সমম্বয়ক ইব্রাহীম কুরায়শী, সমম্বয়ক লুৎফর রহমান রোহান, ছাত্র প্রতিনিধি বায়াতুল্লাহ বায়াত সহ প্রমূখ ছাত্র নেতৃবৃন্দ।

- Advertisement -islamibank

সমাবেশে বক্তারা বলেন, বিগত দিনে আওয়ামী ফ্যাসিবাদ টিকিয়ে রাখতে সবচেয়ে নির্লজ্জ ভূমিকা রেখেছিল কিছু গণমাধ্যম এবং তাদের মালিক ও কর্মীরা। বিভিন্ন গণমাধ্যম থেকে বাছাই করে ভিন্নমতের সাংবাদিকদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল। গণভবনে গিয়ে সাংবাদিক নেতারা ক্ষমতাসীনদের জবাবদিহিতার পরিবর্তে চাটুকারীতায় লিপ্ত ছিলেন। আমরা অবিলম্বে দেশবিরোধী সে সকল চাটুকারদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার তারিখ বার বার পরিবর্তন করা হয়েছে উল্লেখ করে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক সাগর এবং রুনি হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন আওয়ামী লীগ সরকার ১১১ বার পরিবর্তন করেছিল। মামলা নিষ্পত্তির জন্য বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের উদ্যোগ দৃশ্যমান হলেও আমরা চাই এটি আরো দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। দোষীদের আইনের আওতায় আনা হোক। এছাড়া আওয়ামী লীগ আমলে ৬৭ জন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিলো। আমরা প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচারের জোর দাবি জানাই এই সমাবেশ থেকে।

সাংবাদিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়নের দাবি জানিয়ে তারা বলেন, গণমাধ্যম কর্মীদের সুরক্ষা দেয়ার লক্ষ্যে অনতিবিলম্বে আইন প্রণয়ন করতে হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রকৃত গণমাধ্যম কর্মীরা যাতে কোন অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির মুখোমুখি না হন সেই বিষয়টি রাষ্ট্রকে নিশ্চিত করতে হবে।

জেএন/এমআর

KSRM
পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জয়নিউজবিডি.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন news@joynewsbd.com ঠিকানায়।

এই বিভাগের আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ

×KSRM