চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে নিয়োগ পেয়েছেন স্থানীয় সরকার চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা। এর আগে তাঁকে চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রশাসকের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। গতকাল ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদ থেকে অপসারিত হন ১৫ বছর ধরে দায়িত্ব পালন করা একেএম ফজলুল্লাহ। এছাড়া পৃথক আরেকটি প্রজ্ঞাপনে ভেঙে দেওয়া হয়েছে ওয়াসার বোর্ড।
বুধবার (৩০ অক্টোবর) এ বিষয়ে পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। তিনটি প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মো. আব্দুর রহমান।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক পদে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৪-এর ধারা ২৮ ক অনুযায়ী স্থানীয় সরকার, চট্টগ্রাম বিভাগের পরিচালককে তাঁর নিজ দায়িত্বের অতিরিক্ত হিসেবে সাময়িকভাবে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব প্রদান করা হলো। অতিরিক্ত দায়িত্ব পালনকালে তিনি বিধি মোতাবেক দায়িত্ব ভাতা পাবেন।
বোর্ড কমিটি বাতিলের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন, ১৯৯৬ এর সংশোধনকল্পে প্রণীত পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪ এর ধারা ৪ অনুযায়ী উক্ত আইনে সন্নিবেশিত ধারা ৪২ক (১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে চট্টগ্রাম ওয়াসার বর্তমান বোর্ড বাতিল করা হলো। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারী করা হলো।
উল্লেখ্য, ১৯৪২ সালে জন্ম নেওয়া এ কে এম ফজলুল্লাহ চট্টগ্রাম ওয়াসার তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হিসেবে অবসর নেন ২০০০ সালে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালের ৬ জুলাই প্রথমবার চট্টগ্রাম ওয়াসা বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে এক বছরের জন্য নিয়োগ পান। এরপর আরও এক বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে ঢাকা ওয়াসার আদলে চট্টগ্রাম ওয়াসাতেও ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ তৈরি করা হয়। ওয়াসা বোর্ডও পুনর্গঠন করা হয়। তখন এমডি পদে নিয়োগ পান তৎকালীন চেয়ারম্যান এ কে এম ফজলুল্লাহ। সেই থেকে এমডি পদে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তিনি।
জেএন/এমআর