শুধু বাংলাদেশের মানুষ নয়, তরুণদের নিয়ে পুরো পৃথিবীর মানুষ নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে। তরুণদের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। কারণ বাংলাদেশের তরুণরা এই জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে পৃথিবীকে একটি নতুন পথ দেখিয়েছে। ফলে এই তারুণ্য বাংলাদেশকে পরবর্তীতে কোথায় নিয়ে যাবে পুরো পৃথিবী এখন সেটি দেখার অপেক্ষায় রয়েছে।
শুক্রবার (১ নভেম্বর) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় যুব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে তরুণরা বাংলাদেশকে নতুন করে পথ দেখিয়েছে। নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে অর্থনীতিসহ সবকিছুতেই তরুণরা নেতৃত্বে আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। যেই প্রজন্ম জুলাই অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সংস্কারে স্বপ্ন দেখছে। সেই প্রজন্মই বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব দেবে।
তিনি বলেন, তারুণ্যের ভেতরে যে উদ্যম, স্পৃহা এবং সচেতন ইচ্ছা রয়েছে এই সকল গুণাবলিকে যদি কাজে লাগানো যায় তাহলে অবশ্যই বাংলাদেশ একটি ভালো জায়গায় যাবে। জুলাই অভ্যুত্থানের সকলেই রাস্তায় নেমে এসেছিল। একদিকে ছিল দেশমাতৃকা অপরদিকে ছিল মৃত্যু। মাতৃভূমি অথবা মৃত্যু যে কোনো একটাকে বেছে নিয়ে আমাদের লড়তে হয়েছিল। ফলে আমরা মনে করি আমাদের এই লড়াইটা চলমান এবং আমরা অবশ্যই আমাদের মাতৃভূমিকে রক্ষা করে নতুন করে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবো।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘সরকারি ক্ষেত্রে আগামী ২ বছরে ৫ লক্ষ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। তিনি বলেন, মানব জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় যৌবনকাল এবং মানবসম্পদের শ্রেষ্ঠ অংশ যুবসমাজ। ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ হিসেবে এ যুবশক্তি দেশের অর্থনীতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মাধ্যমে কর্মপ্রত্যাশী যুবদেরকে মানবসম্পদের উপযোগী করে গড়ে তুলছে।’
অনুষ্ঠানে ১২ জন সফল আত্মকর্মী ও ৩ জন শ্রেষ্ঠ যুব সংগঠককে জাতীয় যুব পুরস্কার ২০২৪ দেওয়া হয়।
এরপর উপদেষ্টারা জাতীয় যুব দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত যুব মেলা পরিদর্শন করেন। এ সময় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রেজাউল মাকছুদ জাহেদী, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মো. সাইফুজ্জামানসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/এমআর