আয়কর রিটার্ন দাখিলসহ মেলার পরিবেশে করদাতাদের সব ধরনের সেবা দিতে রোববার (৩ নভেম্বর) থেকে শুরু হচ্ছে কর তথ্যসেবা মাস।
নভেম্বর মাসজুড়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ দেশের ৪১টি কর অঞ্চলের ৬৫০টি সার্কেলে অফিস চলাকালীন সময়ে নিরবচ্ছিন্নভাবে পাওয়া যাবে করসেবা।
গত চার বছরের মতো চলতি বছরেও আয়কর মেলা হচ্ছে না। সে কারণে প্রতিটি কর অঞ্চলে কর মেলার পরিবেশে মিনি করমেলার আয়োজন করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
কর কর্মকর্তারা বলছেন, করদাতাদের সুবিধার জন্য আয়কর মেলার আদলে চট্টগ্রামের ৪টি কর অঞ্চলের প্রতিটি সার্কেলে রিটার্ন জমা নেওয়া হবে। এজন্য প্রতিটি সার্কেল অফিসে স্থাপন করা হবে বিশেষ বুথ এবং ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টার। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সারাদেশের সঙ্গে চট্টগ্রামের অফিসে উৎসবমুখর পরিবেশে রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন করদাতারা।
এছাড়া রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে রিটার্ন গ্রহণের পরিবেশকে আকর্ষণীয় করে তোলা হবে। একই সঙ্গে রিটার্ন দাখিলকারীদের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের সঙ্গে মিলবে কর সংক্রান্ত সব তথ্য। করদাতারা চাইলে অনলাইনেও কর দিতে পারবেন। এক পৃষ্ঠার রিটার্ন দাখিল পদ্ধতিও থাকবে। পাশাপাশি ই–চালান ও নতুন টিআইএন করার সুযোগও থাকবে। এ উপলক্ষে আজ রোববার বেলা ১১টায় নগরীর আগ্রাবাদে পিএইচপি ফেলিকন মাহজাবিন ভবনে আয়কর তথ্য সেবা মাসের উদ্বোধন করবেন কর বিভাগের কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে চট্টগ্রাম কর অঞ্চল–২ এর কমিশনার মো. আবদুস সোবহান, চট্টগ্রাম কর আপীল অঞ্চলের কমিশনার শামিনা ইসলাম, চট্টগ্রাম কর অঞ্চল–৩ এর কমিশনার মো. মঞ্জুর আলম, চট্টগ্রাম কর অঞ্চল–৪ এর কমিশনার আয়শা সিদ্দিকা শেলী, চট্টগ্রাম কর আইনজীবী সমিতির সভাপতি আবু তাহের উপস্থিত থাকবেন।
কর অঞ্চলগুলোতে যে সব সেবা পাওয়া যাবে
>> আয়কর মেলার পরিবর্তে কর কমিশনার অঞ্চলগুলোতে জাঁকজমকপূর্ণভাবে ও উৎসবমুখর পরিবেশে ৩ থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন গ্রহণের জন্য করদাতাদের সেবা দেওয়া।
>> প্রতিটি অফিসে উন্মুক্ত স্থান বা কার পার্কিং এরিয়ায় রিটার্ন গ্রহণ বুথ ও হেল্প ডেস্ক স্থাপন করে রিটার্ন গ্রহণের পরিবেশকে আকর্ষণীয় করে তুলতে হবে। একইসঙ্গে রিটার্ন দাখিলকারী করদাতাদের তাৎক্ষণিক প্রাপ্তি স্বীকারপত্রের সঙ্গে রিটার্ন দাখিলের জন্য উৎসাহ প্রদানে উপহার দেওয়া হবে।
>> অনলাইনে কীভাবে রিটার্ন দাখিল করা যায়, সে বিষয়টি হাতে কলমে দেখিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা থাকবে। অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করলে কর সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য অফিস যেতে হবে না।
>> সব কর কমিশনার সেবা কেন্দ্রে ই-টিআইএন রেজিস্ট্রেশন ও রি-রেজিস্ট্রেশনের ব্যবস্থা রাখতে হবে।
>> প্রতিটি কর অঞ্চলের নিজস্ব ওয়েবসাইট তথ্যসহ হালনাগাদ করতে হবে। ওই ওয়েবসাইটে আয়কর সংক্রান্ত বিভিন্ন ফর্ম, পরিপত্র, রিটার্ন পূরণের নির্দেশিকা, ভিডিও টিউটোরিয়ালসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য সন্নিবেশ করতে হবে।
>> কর অঞ্চলগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রাখবে। অন্যান্য মাধ্যমের পাশাপাশি ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চলবে।
এছাড়া ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে রাজধানীর একটি অভিজাত হোটেলে জাতীয় ট্যাক্স কার্ড ও ঢাকার কর অঞ্চলগুলোর সেরা করদাতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
অন্যদিকে ঢাকার বাইরে চট্টগ্রামের ৪টি কর অঞ্চলে কেন্দ্রীয়ভাবে ও অন্য সব কর অঞ্চল নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় যথাযথ আনুষ্ঠানিকতার মাধ্যমে জেলা ও সিটি করপোরেশনভিত্তিক সেরা করদাতা সম্মাননা প্রদান করবে।
জেএন/এমআর