নোয়াখালীর সেনবাগ ও সোনাইমুড়িতে পৃথক অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমাণ মাদক ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) ভোর রাতে এসব আগ্নেয়াস্ত্র গোলাবারুদ ও মাদকসহ তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন- নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ছয়ানী টগবা গ্রামের বড় ভূঁইয়া বাড়ির বাবলুর ছেলে বাদল হোসেন, রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের রুইতখালী আমির উদ্দিন পাটোয়ারীর মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. রবিন, কুমিল্লা জেলার লালমাই থানার বাগমারা উত্তর ইউনিয়নের সৈয়দপুর গ্রামের মৃত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মুরাদ হোসেন ও সোনাইমুড়ি উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের হাজী বাড়ির সাইফুল আলম মানিকের ছেলে মো. বাহার ও বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কামাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন।
জানা গেছে, সেনবাগের সেবারহাট বাজারের টহলরত পুলিশ সায়েদ প্লাজার সামনে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর চেকপোস্টের মাধ্যমে সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশি চালানোর সময় ১২ কেজি গাঁজা ও ১০টি অস্ত্রসহ চারজনকে আটক করেন।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোনাইমুড়ির দেওটি ইউনিয়নের আকরাম উদ্দিন হাজী বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে সেখান থেকে ৯টি ম্যাগাজিন, পাঁচটি বিদেশি পিস্তল, দুইটি দেশিয় তৈরি এলজি এবং ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলিসহ মো. বাহারকে আটক করেন।
নোয়াখালী পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ।
তিনি বলেন, নোয়াখালী জেলাকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি সন্ত্রাসী চক্র বিপুল পরিমাণে অস্ত্র গুলি মজুদ করার চেষ্টা করছে এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সহযোগিতায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়।
সে তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় অস্ত্র ও মাদকের একটি বড় চালান চট্টগ্রাম থেকে নোয়াখালী জেলায় আসবে। অভিযান পরিচালনা করে ৫ জনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় নোয়াখালী টিম।
আসামি বাদল হোসেন, মো. রবিন, আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিআইজি মো. আহসান হাবীব বলেন, বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের আমাদের হেডকোয়ার্টার থেকে বিশেষ প্রতিনিধি দল নিযুক্ত করা হয়েছে।
আমরা গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়গুলো দেখছি। আসামিদের বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং আগামীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে চট্রগ্রামের রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নেছাঁর উদ্দীন আহমেদ, নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপারসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন/পিআর