ইসরায়েলের হামলা ও যুদ্ধ পরিস্থিতিতে লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ১৮৩ জন বাংলাদেশি। এ নিয়ে নয়টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৫২১ জন বাংলাদেশি নিরাপদে দেশে ফিরলেন।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় তাদের বহনকারী বিমানটি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে—পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, লেবানন এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় যুদ্ধবিধ্বস্ত লেবানন থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক।
আটকে পড়া বাংলাদেশিদের মধ্যে স্কাই ভিশন এয়ারলাইনসের এসভিআই-৫০০২ ফ্লাইট যোগে ১৫১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে রাত ১টার দিকে দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়।
উল্লেখ্য এ ফ্লাইটটি ছিল আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার অর্থায়নে একটি চার্টার্ড ফ্লাইট। এর ঠিক কিছু সময় আগেই ২৩ বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে ইকে ৫৮৪ ফ্লাইটে লেবানন থেকে আরও ৩২ জনকে প্রত্যাবাসন করা হয়। এ নিয়ে নয়টি ফ্লাইটে সর্বমোট ৫২১ জন বাংলাদেশি নিরাপদে দেশে ফিরলেন।
প্রত্যাবাসনকৃত অসহায় এ সকল বাংলাদেশি নাগরিককে বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানান প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ মাসুদ মাহমুদ খোন্দকার এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তাবৃন্দ।
আইওএমের পক্ষ থেকে লেবানন থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা পকেট মানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের সাথে তাঁরা যুদ্ধের ভয়াবহতা নিয়ে কথা বলেন ও তাদের খোঁজ খবর নেন। এ পর্যন্ত একজন বাংলাদেশী বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
লেবাননে চলমান সাম্প্রতিক যুদ্ধাবস্থায় যত জন প্রবাসী বাংলাদেশী দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক তাদের সকলকেই সরকার নিজ খরচে দেশে ফেরত আনবে।
বাংলাদেশ দূতাবাস, বৈরুত, দেশে ফিরে আসতে ইচ্ছুক বাংলাদেশীদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তনের জন্য এবং যেসকল প্রবাসী বাংলাদেশী ফিরে আসতে অনিচ্ছুক তাদের। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে।
জেএন/পিআর