একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন আওয়ামী লীগের মনোনীত তিন অভিনয়-সংগীতশিল্পী প্রার্থী আসাদুজ্জামান নূর, আকবর হোসেন পাঠান ফারুক ও মমতাজ।
নীলফামারী-২ আসন থেকে অভিনয়শিল্পী আসাদুজ্জামান নূর, ঢাকা-১৭ আসন থেকে চিত্রনায়ক ফারুক ও মানিকগঞ্জ-২ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী মমতাজ।
প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে প্রায় দ্বিগুণ ভোটে হারিয়ে চতুর্থবারের মতো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেন আসাদুজ্জামান নূর। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭৭ হাজার ৬৫৭ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মনিরুজ্জামান মন্টু ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ৭৯ হাজার ৪৮৪ ভোট। তিনি ভোটের মাঝপথে ভোট বর্জন করেন।
এ আসন থেকে ২০০১, ২০০৮ ও ২০১৪ সালেও সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন নূর। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর আওয়ামী লীগ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন তিনি।
অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে সংসদ সদস্য হিসেবে এবার অভিষেক ঘটেছে চিত্রনায়ক ফারুকের। তিনি অভিনয়ে নাম লেখানোর আগে থেকেই ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। মাঠে ছিলেন ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের সময়ও। একাত্তরে যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধে। মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সান্নিধ্য পান তিনি।
চলচ্চিত্রে নাম লেখানোর পর রাজনৈতিক অঙ্গন থেকে খানিকটা দূরে সরে যান তিনি। ৭০ বছর বয়সে এসে রাজনীতিতে পুরোপুরি থিতু হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েই চমক দেখালেন তিনি। এ জয়ের মধ্য দিয়ে তাঁর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পূরণ হলো বলে জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার গঠিত হলে আগামী ৫ বছরে বাংলাদেশ শেখ হাসিনার হাত ধরে ‘সোনার বাংলায় পরিণত হবে’ বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের টিকিট হাতে তৃতীয়বারের মতো সংসদে যাচ্ছেন সংগীতশিল্পী মমতাজ। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মঈনুল ইসলাম খানের চেয়েও কয়েকগুণ ভোট বেশি পেয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন তিনি।
মমতাজ আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে ‘সুন্দর ও সমৃদ্ধশালী’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
তিনি ২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনীত হন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি একই আসন থেকে দ্বিতীয়বার নির্বাচিত হন।