চট্টগ্রাম নগরের বাকলিয়ার এক্সেস রোড এলাকায় জায়গা দখল নিয়ে বিএনপির দুপক্ষে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের শুরু থেকেই দুপক্ষ একে অপরকে লক্ষ্য করে ইপাটকেল নিক্ষেপ করে। এছাড়া দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রের মহড়া দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেয় আরেকপক্ষ। এ সময় প্রতিপক্ষকে ধাওয়া দিয়ে আশপাশের অলিগলিও বন্ধ করে দিতে দেখা গেছে তাদের। ঘটনায় ১০টিরও বেশি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সৈয়দ শাহ রোডে সন্ধ্যার পর থেকেই কয়েক দফায় এ সংঘর্ষ হয়। পরে পুলিশ-সেনাবাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সবশেষ, রাতে পুরো এলাকা থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্থানীয় বিএনপির দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে উপস্থিত আছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, দুপুরের পর থেকে কয়েক দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রাত ১১টার সময় হঠাৎ করেই দোকানপাট বন্ধ করতে থাকেন ব্যবসায়ীরা। পরে এক্সেস রোড এলাকায় দেশীয় অস্ত্র এবং গুলি হাতে জড়ো হতে থাকে শতাধিক যুবক। এরপর তাদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় একপক্ষ আরেকপক্ষের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে এবং ধাওয়া দেয়। পরে উভয়পক্ষ ‘জিয়ার সৈনিক, এক হও লড়াই করো’ বলে স্লোগান দিচ্ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘হঠাৎ উভয়পাশ থেকে দুই দল এসে মারামারি করতে থাকে। ওই সময় তাদের একটি পক্ষ গুলি ছুঁড়ে। মানুষজন সবাই আতঙ্কে যে যার মত সরে পড়ে। আমিও আতঙ্কে ঘটনাস্থল ত্যাগ করি।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার সময় আশপাশের এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ ছিল না। পুরো সড়কই অন্ধকার। একটি পুলিশের গাড়িও চোখে পড়েছে।’
বাকলিয়া থানার ওসি মো. ইখতিয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুপক্ষের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
কোন নেতার সমর্থকদের মাঝে এমন ঘটনা ঘটেছে প্রশ্নটি এড়িয়ে যান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী গোলাগুলির বিষয়টি নিশ্চিত করলেও অস্বীকার করেছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মো. তারেক আজিজ। তিনি বলেন, ‘ওই এলাকায় স্থানীয় বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে জায়গা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষের সময় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি। তবে দুপক্ষ একে অপরকে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেছে।’
তিনি আরো বলেন, ’পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেখানে অবস্থান করছে। এখন মোটামুটি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।’
জেএন/এমআর