ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় নায়িকা বিদ্যাসিনহা মিম। ক্যারিয়ারে ইতোমধ্যে বিজ্ঞাপনচিত্র ও নাটক-সিনেমা দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। ভিন্নমাত্রার চরিত্রে অভিনয় করে প্রশংসাও কুড়িয়েছেন।
সম্প্রতি এই নায়িকাকে দাবি করে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। যা নিয়ে বেশ বিব্রত তিনি। প্রায় দুই মাস আগের একটি ভিডিওতে আতঙ্কিত অবস্থায় দেখা গেছে তাকে।
আর যা গত কয়েকদিন ধরে একটি মহল ফেসবুকে পোস্ট করে দাবি করছেন―পার্লার উদ্বোধন করতে গিয়ে উগ্রবাদীদের রোষানলে মিম। এই বিষয়টিকে কেবলেই মিথ্যা বলে দাবি করলেন এই নায়িকা।
এ ব্যাপারে বিদ্যা সিনহা মিম দেশের একটি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কিছুদিন ধরেই ফেসবুকে ঘুরে বেড়াচ্ছে ভিডিওটি। যা নিয়ে অনেকেই ভুল বার্তা ছড়াচ্ছেন।
কেউ কেউ বলছেন, আমি নাকি মবের শিকার। আমাকে উদ্বোধনে বাধাদেয়া হয়েছে। আসলে তো তেমন কিছু ঘটেনি আমার সঙ্গে।
তিনি বলেন, প্রতিটি জায়গায়ই ভক্ত-শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা পেয়েছি আমি। এবার দুই মাস আগে একটি জুয়েলারির শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়েছিলাম। তখন ভয়ে আতঙ্কিত হয়েছিলাম। আর এটি সেই ভিডিও।
এ নায়িকা দুই মাস আগের সেই ঘটনা সম্পর্কে বলেন, শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে হঠাৎই বিকট শব্দ হয়, সঙ্গে ধোঁয়া ছিল। মনে করেছিলাম হয়তো আগুন ধরেছে। মূলত সেটি ছিল একটি ক্যামেরা বিস্ফোরণের। তারপর সেখান থেকে আগুন লাগার গুজব এবং অনেকে ভয় পান।
তবে আমার কোনো ক্ষতি হয়নি। কিন্তু ওই ঘটনা বিভিন্ন সময় যেভাবে কাটছাঁট করে সামনে আনা হচ্ছে, তা সত্যিই বিব্রত করছে আমায়।
তিনি বলেন, একশ্রেণির মানুষ সেই পুরনো ভিডিওটির মাধ্যমে গুজব ছড়াচ্ছে। আর এখন ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করলেই অর্থ পাওয়া যায়।
এ জন্য একই ভিডিও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশ করা হয়। যা অনেককেই অস্বস্তিতে ফেলছে। আর কোনোকিছু যাচাই-বাছাই না করে কোনো ভিডিও পোস্ট করা উচিত নয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে চট্টগ্রাম নগরে ব্যবসায়ী ও তৌহিদি মানুষের বাধার মুখে শোরুম উদ্বোধন করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন ছোটপর্দার অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। চট্টগ্রাম থেকে ফিরে আসেন তিনি।
এ ঘটনায় তখন মেহজাবীন ফেসবুকে জানিয়েছিলেন, চট্টগ্রামে একটি শোরুম উদ্বোধন করতে যাওয়ার সময় বিমানবন্দর থেকে শোরুমে যাওয়ার পথে জানতে পারেন, সেখানে নিরাপত্তাসংক্রান্ত কিছু সমস্যা হয়েছে।
এ জন্য আয়োজন ও তিনি সিদ্ধান্ত নেন, নিরাপত্তার অভাবে শোরুমে যাবেন না তিনি। তারপর গাড়ি ঘুরিয়ে বিমানবন্দর হয়ে ঢাকায় ফেরারা সিদ্ধান্ত নেন এ অভিনেত্রী।
জেএন/পিআর