গ্যাসের সাশ্রয়ের জন্য কেজিডিসিএলের ১ লাখ প্রিপেইড মিটার বসানোর কাজ চলছে। কিন্তু মাঝপথে এসে গ্রাহকরা প্রি-পেইড মিটার বসাতে অনীহা দেখাচ্ছে। প্রিপেইড বসানো নিয়ে গ্রাহকরা নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। তবে একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন ঠিকাদার মিটার বসানোর জন্য গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা দাবি করছে। এতে গ্রাহকদের মধ্যে অনীহা দেখা দিয়েছে।
কর্মকর্তারা জানান, যাদের মিটারের জন্য আবেদন করেছেন তাদের প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে প্রি-পেইড মিটার বসাতে হবে। না হয় গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। মিটার বসানোর জন্য এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে।
কেজিডিসিএলের প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ১ লাখের মধ্যে প্রায় ৫০ হাজার প্রি-পেইড মিটার ইতিমধ্যে বসানো হয়েছে। কিন্তু মাঝপথে এসে প্রি-পেইড মিটার বসানো নিয়ে গ্রাহকদের অনীহা দেখানোর অভিযোগ উঠেছে। মিটার বসানোর জন্য আগ্রহী গ্রাহকদের কাছ থেকে আগেই আবেদন জমা নেওয়া হয়েছে। ১ লাখের বেশি আবেদন জমা পড়েছে। তবে যারা আগে আবেদন করেছেন সিরিয়ালের ভিত্তিতে প্রি-পেইড মিটার বসানো হচ্ছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান গ্রাহক পর্যায়ে সরাসরি মিটার বসাচ্ছে না। কেজিডিসিএলের তালিকাভুক্ত ঠিকাদারের মাধ্যমে গ্রাহকদের মিটার বসাতে হচ্ছে। মিটার বসানোর আগে ঠিকাদারের মাধ্যমে নকশা প্রণয়ন করে কোম্পানি থেকে অনুমোদন নিতে হচ্ছে।
একাধিক গ্রাহক অভিযোগ করেছেন ঠিকাদাররা মিটার বসানোর ক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছে। মিটার বসানোর জন্য আগে চুলার জন্য ওয়ারিং করতে হচ্ছে। এতে পাইপ ও শ্রমিক মজুরি খরচ রয়েছে। মিটার কোম্পানি থেকে বিনামূল্যে সরবরাহ দেওয়া হচ্ছে। একটি মিটারের দাম পড়েছে প্রায় ১৩ হাজার টাকা। চালু হলে মিটার বাবদ গ্রাহক থেকে মাসে ২০০ টাকা হারে মিটার ভাড়া বাবদ পরিশোধ করতে হবে। ফলে ওয়ারিং বাবদ ঠিকাদারদের কয়েকগুণ বেশি টাকা আদায়ের কারণে গ্রাহকরা আগ্রহ দেখাচ্ছে না। গ্যাস কোম্পানিও বাড়তি টাকা আদায় নিয়ে ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না বলেও গ্রাহকদের অভিযোগ। আবার একটি বিল্ডিংয়ে একাধিক মালিক রয়েছে। চুলা নিয়ে অংশীজন রয়েছে।
নগরীর মোহরা এলাকায় প্রি-পেইড মিটার বসানোর কাজ করছেন ঠিকাদার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেন, আমার কাছে ৬০ জন গ্রাহক রয়েছে নকশা অনুমোদনের পর মিটার বসাচ্ছে না। তারা নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন। একবার বলে খরচ বেশি হচ্ছে। মিটার ছাড়া এখন ভালো আছি।’
জানতে চাইলে কেজিডিসিএলের প্রি-পেইড মিটারিং প্রকল্পের প্রকল্প কর্মকর্তা প্রকৌশলী নাহিদ আলম বলেন, ঠিকাদারদের বাড়তি টাকা আদায় নিয়ে কিছু অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু সুনির্দিষ্টভাবে ঠিকাদারের নাম উল্লেখ করে অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। আগামী জুন পর্যন্ত প্রকল্পের মেয়াদের মধ্যে আবেদনকারী কোনো গ্রাহক মিটার না বসালে গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হবে। কারণ প্রকল্পের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। এছাড়া বকেয়া বা অন্য কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে তারাও প্রি-পেইড মিটার বসাতে হবে। না হয় গ্যাসের পুনঃসংযোগ দেওয়া হবে না।’
জেএন/এমআর