সাবেক জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তা ও ঘনিষ্ঠ সমর্থক কাশ প্যাটেলকে এফবিআই প্রধান হিসেবে মনোনীত করতে চান যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার (৩০ নভেম্বর) এফবিআই প্রধান হিসেবে প্যাটেলের নাম ঘোষণা করলেন তিনি। এর মাধ্যমে এফবিআইয়ের বর্তমান পরিচালক ক্রিস্টোফার রে-কে অপসারণ করার পরিকল্পনা করছেন বলে ইঙ্গিত দিলেন ট্রাম্প। ব্রিটিশ বাতা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
ট্রাম্পের প্রথম মেয়াদে জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালক এবং প্রতিরক্ষা সচিবকে এফবিআই-এর গোয়েন্দা কার্যক্রম বন্ধের এবং যেসব কর্মী ট্রাম্পের এজেন্ডা সমর্থন করতে রাজি নন, তাদের বাদ দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছিলেন প্যাটেল।
সেপ্টেম্বরে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘এফবিআই-এর সবচেয়ে বড় সমস্যা তাদের গোয়েন্দা বিভাগের ভেতর থেকেই এসেছে। আমি এ বিভাগটি সরিয়ে ফেলব। প্রথম দিনেই আমি এফবিআই হুভার ভবনটি বন্ধ করব এবং পরের দিন এটি ‘ডিপ স্টেট মিউজিয়াম’ হিসেবে পুনরায় খুলে দেব।’
‘আমি ওই ভবনের ৭,০০০ কর্মীকে পুরো আমেরিকায় পাঠিয়ে দেব প্রকৃত অপরাধীদের ধরতে। তারা পুলিশ। তাদের পুলিশ হয়ে কাজ করতে দিন।’
প্যাটেলকে মনোনীত করে ট্রাম্প স্পষ্ট করেছেন যে তিনি রে-কে অপসারণ করার হুমকি বাস্তবায়নের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। যদিও রে এফবিআই পরিচালকের ১০ বছরের মেয়াদে ২০২৭ সাল পর্যন্ত পদে থাকতে পারবেন। তিনি পদত্যাগের কোনও ইঙ্গিত দেননি।
প্যাটেলের পটভূমি ও বিতর্ক
৪৪ বছর বয়সী কাশ প্যাটেল সাবেক ফেডারেল পাবলিক ডিফেন্ডার ও প্রসিকিউটর। তিনি ডেভিন নুনেসের নেতৃত্বাধীন হাউজ ইন্টেলিজেন্স কমিটির তদন্তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ২০১৬ সালে ট্রাম্পের নির্বাচনি প্রচারাভিযান ও রাশিয়ার মধ্যে যোগাযোগের বিষয়ে ওই তদন্ত পরিচালিত হয়েছিল।
প্যাটেল ট্রাম্প প্রশাসনের সময়ও বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন। প্রথম বিচারিক প্রক্রিয়ার সময়, জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সাবেক কর্মকর্তা ফিওনা হিল অভিযোগ করেছিলেন যে প্যাটেল ট্রাম্প ও ইউক্রেনের মধ্যে অনুমোদনহীন গোপন যোগাযোগ রক্ষা করছিলেন। প্যাটেল এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
ট্রাম্পের অফিস ছাড়ার পর প্যাটেল তার গোপন নথি ও দলিল ব্যবহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত একজন প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন এবং তিনি দাবি করেন (প্রমাণ ছাড়াই) যে ট্রাম্প তার সমস্ত নথি জনসম্মুখে প্রকাশ করেছিলেন।
এছাড়া ট্রাম্প ২০২৩ সালে ঘোষণা করেছিলেন যে প্যাটেলের লেখা বই ‘গভর্নমেন্ট গ্যাংস্টার্স’ ডিপ স্টেটের শাসন শেষ করার একটি রোডম্যাপ হিসেবে ব্যবহৃত হবে।
প্যাটেলের এই মনোনয়ন সিনেটে ডেমোক্র্যাটদের পাশাপাশি কিছু রিপাবলিকানদের বিরোধিতার মুখে পড়তে পারে। তবে, টেক্সাস অ্যাটর্নি জেনারেল কেন প্যাক্সটনের মতো কিছু প্রভাবশালী রিপাবলিকানের প্যাটেলের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
জেএন/এমআর