চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার বড়উঠানে সিএনজি যাত্রী সেজে অপর এক নারী যাত্রীর সর্বস্ব লুটে নিতে চেয়েছিলো সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্র।
তবে ওই নারীর সাহসিকতা এবং স্থানীয়দের সহযোগীতায় ধরা পড়েছে ২ ছিনতাইকারী। তবে কৌশলে পালিয়ে গেছে চক্রের অন্যতম সদস্য সিএনজি চালক। আটক দুজনকে যৌথ বাহিনীর হাতে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।
রবিবার দুপুরে আটক দুজন ও পলাতক সিএনজি চালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে কর্ণফুলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নারী।
আসামিরা হলেন-পটিয়া জিরি ইউনিয়নের (৭ নম্বর ওয়ার্ড) সিরাজ মেম্বারের বাড়ির ইদ্রিস মিয়ার ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২১), একই এলাকার গুরা মিয়ার ছেলে মো. মাহবুবুল আলম (২২) এবং পটিয়া কুুসুমপুরা এলাকার পেয়ার আহমেদের ছেলে আবু বক্কর (২২)।
এর আগে শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাত সোয়া ৮টার দিকে বড় উঠানের চেয়ারম্যানঘাটা এলাকা থেকে আরাফাত ও আবু বক্করকে আটক করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ওই নারী কর্ণফুলী ইপিজেডের পার্ক বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেডের শ্রমিক। তার বাড়ি দক্ষিণ চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায়। ৩০ নভেম্বর বাড়ি থেকে বাসে করে শিকলবাহা ক্রসিংয়ে নামেন।
সেখান থেকে কর্মস্থলে যাওয়ার উদ্দ্যেশে লোকাল একটি সিএনজি অটোরিকশায় উঠেন। সেখানে আগে থেকেই দুজন ছিনতাইকারী যাত্রী সেজে বসে ছিলেন।
সিএনজি কিছুদুর যাওয়ার পরেই ওই নারীকে মুখ চেপে ধরে তার মোবাইল ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে ছিনতাইকারীরা। বাধা দিলে তারা ওই নারীকে মারধর ও ছুরিকাঘাত করেন। দীর্ঘক্ষণ চলে ধস্তাধস্তি।
এক পর্যায়ে সিএনজিটি বড়উঠানের ৪ নম্বর ওয়ার্ডস্থ চেয়ারম্যানঘাটা এলাকায় পৌঁছালে উল্টে যায়। স্থানীয়রা এগিয়ে এলে ওই নারী ঘটনাটি খুলে বলে। তখন স্থানীয়রা দু’জনকে আটক করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে ফোন করেন।
কর্ণফুলী থানার সেকেন্ড অফিসার মোবারক হোসেন জানান, ঘটনাস্থল থেকে আটক দুজন ও পলাতক সিএনজি চালকসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তাছাড়া ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত সিএনজি অটোরিকশাটি জব্দ করা হয়েছে জানালেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।
জেএন/পিআর