ভারতের গুজরাট শহরের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভুয়া ডিগ্রি নিয়ে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করছেন বেশ কয়েকজন চিকিৎসক। এমন তথ্যে পেয়ে গতকাল বুধবার সাঁড়াশি অভিযানে নামে পুলিশ।
অভিযানে চিকিৎসক নামে এমন একটি প্রতারক চক্রের কীর্তি ওঠে আসে যা প্রকাশ্যে আসার পর গুজরাটসহ ভারত জুড়ে হইচই পড়ে গেছে।
অষ্টম শ্রেণী পাস করে অর্থের বিনিময়ে চিকিৎসকের সার্টিফিকেট নিয়ে ক্লিনিকে চিকিৎসা করছিলেন, এমন ১৪ জন ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তারের পরই শুরু হয় এ চাঞ্চল্য।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রত্যেককে ৭০ হাজার রুপির বিনিময়ে পেশাদার ডাক্তারদের সার্টিফিকেট দিতো একটি চক্র। গুজরাটের সুরাত এলাকায় তারা কার্যক্রম চালাতো। তাদের কাছে ১২০০ ভুয়া ডিগ্রির সনদ ছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুরো চক্রটিকেই ধরে ফেলা হয়েছে।
গুজরাট পুলিশ জানায়, তারা ১৪ জন ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করেছে। চক্রের হোতা রমেশ গুজরাটিও গ্রেপ্তার হয়েছেন। তারা বোর্ড অব ইলেক্ট্রো হোমিওপ্যাথিক মেডিসিনের সনদ দিয়েছিলেন। তাদের কাছে শত শত আবেদনপত্র, সনদ ও স্ট্যাম্প পাওয়া গেছে।
এর আগে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ জানতে পারে, ডাক্তারের ভুয়া ডিগ্রি নিয়ে বেশ কয়েকজন এলোপ্যাথিক প্যাকটিস করছে। পরে শুঙ্ক বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ সেখানে হানা দেয়। সেখানেই ভুয়া এসব ডাক্তারদের হদিস মেলে। তাদের ডিগ্রি সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তারা বিইএইচএম’র কথা জানায়।
কিন্তু পুলিশ জানায়, গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় না। এক পর্যায়ে অভিযুক্তরা ভুয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে তা সত্য প্রমাণের চেষ্টা করে।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রধান হোতা যখন জানতে পারে ইলেকট্র হোমোপ্যাথি থেকে কোনো সার্টিফিকেট দেয়া হয় না। তখন সে এ বিষয়ে ডিগ্রি প্রদানের জন্য একটি বোর্ড গঠনের পরিকল্পনা করে।
এজন্য সে পাঁচ জনকে ইলেকট্র-হোমোপ্যাথি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়। তারা তিন বছরের কম সময়ের মধ্যে তাদের প্রশিক্ষণ শেষ করে। এতে ইলেকট্র হোমোপ্যাথি মেডিসিল কীভাবে লিখতে হবে তা সেখানো হয়।
মাত্র ১৫ দিনের মধ্যে ভুয়া সার্টিফিকেট প্রদান করা হতো এবং রিনিউ করার জন্য ৫ থেকে ১৫ হাজার রুপি দাবি করা হত।
জেএন/পিআর