জাতীয় নাগরিক কমিটি জানিয়েছে, ‘জনশক্তি’ নামে কোনো রাজনৈতিক দল নিয়ে আলোচনা হয়নি। ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত না হতে সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংগঠনটি।
শনিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আমরা দেখেছি- বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে ও জাতীয় নাগরিক কমিটির উদ্যোগে অনাগত রাজনৈতিক দলের নাম ‘জনশক্তি’।
এটি জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, এ ধরনের কোনো নাম নিয়ে আলোচনা কিংবা সিদ্ধান্ত আমাদের মাঝে হয়নি। সংশ্লিষ্ট সবাইকে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে গত অগাস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর থেকেই ছাত্রদের নেতৃত্বে নতুন একটি রাজনৈতিক দল গঠিত হচ্ছে–এমন একটা আলোচনা প্রায়ই শোনা যায়।
অভ্যুত্থানের এক মাস পর সেপ্টেম্বরে আন্দোলনের নেতাদের নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলার কথা বলে আত্মপ্রকাশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে গতকাল বিবিসি বাংলাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নাগরিক কমিটির মুখপাত্র সামান্তা শারমিন বলেন, ‘আমরা মনে করছি ডিসেম্বরের মধ্যেই আমাদের সম্ভাব্য সকল কমিটি দেয়ার কাজ শেষ হয়ে যাবে।
এরপরের ধাপে যখন আমরা ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ছড়িয়ে পড়বো, তখন আমাদের রাজনৈতিক দল গঠনের যে প্রক্রিয়া আমরা সেটার মুখোমুখি এসে দাঁড়াবো বলে মনে করছি। এর সঙ্গে আমাদের মাঠের নানা কর্মসূচি চলতে থাকবে। যার মাধ্যমে সাংগঠনিক প্রক্রিয়াকে মজবুত করার কাজটা চলছে। আমরা এখনও সুনির্দিষ্ট দিন-ক্ষণ বলতে চাই না।
তবে মনে করছি সব মিলিয়ে আমরা এক-দুই মাসের মধ্যেই একটা রাজনৈতিক দল দেখতে পাবো।’
গেলো তিন মাসেরও বেশি সময় ধরে সারাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় কমিটি গঠন করে সংগঠনের বিস্তৃতিও ঘটিয়েছে তারা। তাদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, তৃণমূলে সাংগঠনিক কাঠামো তৈরি হলে দলও দাঁড়িয়ে যাবে। ইতোমধ্যেই তারা সারাদেশে প্রায় শ’খানেক জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কমিটি গঠন করেছেন তারা।
জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারা আশাবাদী তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত একটি বড় রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশের ব্যাপারে যেখানে মূল ভূমিকায় থাকবে তারা। পাশাপাশি সেই দলে ভূমিকা থাকবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনেরও।
যদিও নাগরিক কমিটি কিংবা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনোটিই শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হবে না। বরং স্বতন্ত্র সংগঠন হিসেবেই থেকে যাবে।
এই দুটি সংগঠন থেকে যারা রাজনীতিতে অংশ নিতে ইচ্ছুক তারা নতুন দলে যোগ দেবে বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
জেএন/পিআর