ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ গাজার আল-মাওয়াসির তথাকথিত `নিরাপদ অঞ্চল’ এ বোমাবর্ষণ করেছে। এর ফলে তাঁবুতে আগুন লেগেছে।
এ ঘটনায় নিহত হয়েছে কমপক্ষে সাতজন ফিলিস্তিনি। এ নিয়ে গত দিনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ৫০। খবর আল জাজিরার।
ফিলিস্তিনি উদ্বাস্তুদের জন্য জাতিসংঘের সংস্থার (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান গত ২৪ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন, স্কুল ও হাসপাতালে হামলা ‘সাধারণ’ বিষয় হয়ে উঠেছে।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রবিবার ভোর থেকে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী অন্তত ৫০ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে। তাদের অধিকাংশই অবরুদ্ধ উত্তরে নিহত হয়।
৫০ জনের মধ্যে গাজা শহরের একটি স্কুলে হামলায় আট ফিলিস্তিনি, জাবালিয়ায় দুটি অভিযানে সাতজন, আল-মাওয়াসিতে তাঁবুতে বোমা হামলায় সাতজন, গাজা শহরে একটি গাড়িতে হামলায় চারজন, অবরুদ্ধ কামাল আদওয়ান হাসপাতালের আশপাশে তিনজন, গাজা শহরের শুজাইয়া পাড়ায় হামলায় দুইজন, কেন্দ্রীয় নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে অভিযানে দুজন, বুরেজ শরণার্থী শিবিরের একটি বাজারে ড্রোন হামলায় এক শিশু নিহত হয়েছে।
আল জাজিরা আরবি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, গাজা শহরের তুফাহ এলাকায় একটি অ্যাপার্টমেন্টে ইসরায়েলি বিমান হামলায় দুই ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী রোগীদের সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়ার পরে সেখানে শেষ সবেমাত্র কার্যকর হাসপাতালেও আক্রমণ করছে।
অবরুদ্ধ উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালের পরিচালক বলেছেন, সুবিধাটি খালি করার জন্য একটি ইসরায়েলি আদেশ মান্য করা ‘অসম্ভব’, কারণ শিশুসহ প্রায় ৪০০ জন বেসামরিক লোক ভিতরে রয়ে গেছে। শিশুদের অক্সিজেন এবং ইনকিউবেটর প্রয়োজন।
অপরদিকে লেবাননে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গত মাসে সম্মত হওয়া যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে কেফার কিলা শহরে একটি বড় বোমা হামলা শুরু করেছে বলে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে।
গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় কমপক্ষে ৪৫ হাজার ২৫৯ ফিলিস্তিনি নিহত এবং এক লাখ সাত হাজার ৬২৭ জন আহত হয়েছে।
৭ অক্টোবর হামাসের হামলার সময় ইসরায়েলে কমপক্ষে ১১৩৯ জন নিহত হয়েছিল এবং ২০০ জনেরও বেশি বন্দি করা হয়েছিল।
জেএন/পিআর