না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভারতের কিংবদন্তি চলচ্চিত্র নির্মাতা শ্যাম বেনেগাল। সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে পরিচালকের বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। তার কন্যা পিয়া বেনেগাল বাবার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘বাবা আজ সন্ধ্যা ৬টা ৩০ মিনিটে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন।’
মুম্বাইয়ের ওয়কহার্ট হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরেই ক্রনিক কিডনি রোগের কারণ চিকিৎসাধীন ছিলেন শ্যাম। এছাড়া কিডনি সংক্রান্ত সমস্যাও ছিল তার।
ভারতের সর্বোচ্চ চলচ্চিত্র সম্মাননা দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার এবং ১৮টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন শ্যাম বেনেগাল।
১৯৭৪ সালে ‘অঙ্কুর’ চলচ্চিত্র দিয়ে পরিচালনার যাত্রা শুরু করেন। এতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন অনন্ত নাগ এবং শাবানা আজমি। চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের বিপুল প্রশংসা অর্জন করে এবং জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে দ্বিতীয় সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এটি বেনেগাল এবং এতে অংশ নেওয়া সবার ক্যারিয়ারের জন্যই একটি মাইলফলক হয়ে ওঠে।
তার তৃতীয় চলচ্চিত্র ‘নিশান্ত’ মুক্তি পায় ১৯৭৫ সালে। এই সিনেমাটিও একটি মাইলফলক হয়ে ওঠে। ১৯৭৬ সালে এটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে ‘পালমে ডিঅর’ পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়।
বেনেগালের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে—মন্থন, ভূমিকা: দ্য রোল, জুনুন, অরোহণ, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু: দ্য ফরগটেন হিরো, ওয়েল ডান আব্বা, মাম্মো, সরদারি বেগম, জুবেইদা ইত্যাদি।
সিনেমায় অবিস্মরণীয় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৬ সালে শ্যাম বেনেগালকে পদ্মশ্রী এবং ১৯৯১ সালে পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত করা হয়।
এছাড়া মুজিব: একটি জাতির রূপকার সিনেমারও নির্মাতা তিনি।
জেএন/এমআর